আজ খবর ডেস্ক- লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। লক্ষ্য, দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ তৈরি করা। তার আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোট, যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রচারে থাকবে তৃণমূল। সেই মোতাবেক সোমবার বিকেলে কলকাতা থেকে লখনৌ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মমতাকে স্বাগত জানাতে লখনৌ বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন অখিলেশ যাদব নিজেই।

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশের সঙ্গে আগেই কথা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর।
সমাজবাদী পার্টির অন্যতম মুখপাত্র, সমাজবাদী পার্টির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ জানিয়েছেন মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে একযোগে হাজির থাকবেন মমতা এবং অখিলেশ।
আগে ঠিক ছিল, বড় জনসভা হবে। কিন্তু করোনা অবহের কথা মাথায় রেখে অখিলেশ-মমতা ভার্চুয়ালি একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।
সমাজবাদী পার্টি সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের লাগু করা বিধিনিষেধ মেনেই তৃণমূল নেত্রী কে লখনৌ বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, এই সফরে অখিলেশ মমতার ভার্চুয়ালি একটি যৌথ সভা করার কথা থাকলেও সম্ভবত যান্ত্রিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

বিকেলের পরে কলকাতা থেকে লখনৌ পৌঁছবেন তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার নির্দিষ্ট কোনও কর্মসূচি না থাকলেও উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের কিছু কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট কিছু মানুষের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাৎ করবেন মমতা।
মাসখানেক আগেই উত্তর প্রদেশে, কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যেহেতু অতীতে এই রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত কিছু আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করেছিল তাই এই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাদের আগ্রহ ছিল, এবার ভোটেও প্রার্থী দেবে তৃণমূল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যোগীর রাজ্যে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হোক তা তিনি চান না। তাই প্রচারে থাকলেও সরাসরি ভোটের ময়দানে থাকছে না তৃণমূল কংগ্রেস।সেইসঙ্গে উল্লেখ্য, সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার কারণে এই সফরে মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না মমতার।

২০১৭ উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএসপি এবং এসপি জোট করেছিল। মায়াবতী ও অখিলেশের সেই “বুয়া ভাতিজা” জোটকে পরাস্ত করেই জিতে আসেন যোগী আদিত্যনাথ। এবারও ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে যোগী কে সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।প্রসঙ্গত, মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী(Varanasi) উত্তরপ্রদেশের অন্তর্গত। তবে এবারের ভোটে রাম মন্দির স্থাপনের পরেও বিজেপি যে কিঞ্চিত চাপে আছে, এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।
এই প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, গেরুয়া শিবির প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছিল গোরক্ষপুর নয়, অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে লড়বেন যোগী আদিত্যনাথ। যদিও পরে দেখা যায় নিজের পুরনো কেন্দ্র তথা “নাথ” গোষ্ঠীর খাসতালুক গোরক্ষপুর থেকেই লড়ছেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফলে সব মিলিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লখনৌ শহর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *