আজ খবর ডেস্ক- বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের “মা ক্যান্টিন” প্রকল্পে বড় ধরণের দুর্নীতি হয়েছে বলে রাজভবনে নালিশ করলেন । তিনি জানান , “মা ক্যান্টিন” প্রকল্প কোনও প্রকার নিয়ন মেনে চালু করা হয়নি । প্রায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এর পিছনে”। তিনি আরও জানান , এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন রাজ্য সরকারের বহু আধিকারিক।
মঙ্গলবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ রাজভবনে যান শুভেন্দু। প্রায় এক ঘন্টা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে থেকে স্বল্প মূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেবার জন্য চালু করা হয় “মা ক্যান্টিন” প্রকল্পটি। দ্রুততা জনপ্রিয়তা লাভ করে।
মাত্র ৫টাকার বিনিময়ে ভাত, ডাল, একটি তরকারি এবং ডিমের ঝোল পাওয়া যায়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ঠিক যেভাবে তামিলনাড়ুতে “আম্মা ক্যান্টিন” চালু করেছিলেন জয়ললিতা, পশ্চিমবঙ্গে সেই মডেল অনুসরণ করে মমতা চালু করেন “মা ক্যান্টিন”।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সেই বছরই অর্থাৎ ২০২১ সালে বিধানসভায় রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতায় ওই “মা ক্যান্টিন” প্রকল্পটি রাখা হয়। তিনি জানান , “নিয়ম মত বাজেট পেশ হওয়ার এক বছর পর কোনও নতুন প্রকল্প চালু করা হয় । কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রকল্পটি চালু করা হয়। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এই মা ক্যান্টিন প্রকল্পটিতে।”
সেক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রে তিনি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন। তিনি জানান পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সাথে এই দুর্নীতির অনেক সাদৃশ্য আছে। তিনি আরো জানান যে, এ রাজ্যে পুলিশের অপব্যবহার চলছে।

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধুই এতদিন পরে “মা ক্যান্টিনে”র দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে শুভেন্দু রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের বক্তব্য, সোমবারই রাজ্যের ৪ পুর নিগমের ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। রাজ্যপালের সঙ্গে সেই সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে বিরোধী দলনেতার, এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুধুই “মা ক্যান্টিন” নয়, পুরভোট নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন , পুলিশ আসানসোলে বিজেপি বিধায়ককে ভোট দিতে দেয়নি। তাছাড়াও বিধাননগরের১০ হাজার মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলে জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *