আজ খবর ডেস্ক- এ যেন এক বিরল ঘটনা। গর্ভপাতের অনুমতি প্রদান করা হলো এক তরুণীকে। কলকাতা তথা গোটা আজ পর্যন্ত কখনই এরকম অনুমতি প্রদান করার ঘটনা আগে দেখা যায় নি। তবে সঠিক কারণটি কি ? জানা গেছে ৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী ওই তরুণী শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। আর মা ও শিশুর সুস্থতার কথা মাথায় রেখেই এরূপ রায় প্রদান করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার বেঞ্চ । বিয়ের পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য সন্তান ধারণ করতে পারছিলেন না সেই তরুণী।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলার পর অবশেষে গর্ভবতী হন সেই তরুণী, আর তারপরই শুরু হয় সমস্যা। সময় যতই এগোচ্ছে ততোই যেন বেড়ে চলেছে শারীরিক সমস্যা ।
একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন সেই তরুণী। শীঘ্রই গর্ভপাত না করালে প্রাণের ঝুঁকি হবে বলে আশঙ্কা করছিলেন চিকিৎসকরা। ঠিক এই কারণেই সেই তরুণী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ১৯৭১ সালের গর্ভপাত আইন ও ২০২১ সালের গর্ভপাত সংশোধনী আইন অনুযায়ী, ২৪ সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে আইনত গর্ভপাত করানো যায় না।
তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে, ২৪ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে আদালত গর্ভপাতের অনুমোদন দিতে পারে বলেও লেখা আছে আইনে। আদালত নিযুক্ত এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারদের বিশেষ কমিটির রিপোর্ট পওয়ার পর বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার বেঞ্চ অবষেশে গর্ভপাতের অনুমোদন দেয়, তবে আদালত আরও জানায় যদি গর্ভপাত করানোর সময় কোন প্রকার সমস্যা হয় তবে তার দায় মায়ের ও তার পরিবারের; এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।