আজ খবর ডেস্ক- রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে। এতদিন ইউক্রেনের হয়ে সওয়াল চালাচ্ছিল আমেরিকা (আমেরিকা)। আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, সরাসরি যুদ্ধ না করলেও এবার ইউক্রেনের সমর্থনে মাঠে নামতে চলেছে জো বাইডেনের(Joe Biden) দেশ।
সংবাদ সংস্থা এএফপি (AFP) সূত্রে খবর পশ্চিম ইউক্রেনের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার একদিন পর, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও বিবৃতিতে ন্যাটোকে(NATO) “নো-ফ্লাই জোন” আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভিডিও বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছিলেন “ন্যাটো যদি ইউক্রেনের আকাশ বন্ধ না করে তবে রাশিয়ান রকেট আপনাদের ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে পড়তে বেশিক্ষণ সময় নেবে না।”

এদিকে সোমবার অর্থাৎ আজই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে একপ্রস্থ শান্তি আলোচনা হতে পারে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক নিশ্চিত করেছেন যে সোমবার ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে।
এই অবস্থার মধ্যেই ভারত অস্থায়ীভাবে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস পোল্যান্ডে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ দেশে যুদ্ধ তীব্র হয়েছে৷ প্রসঙ্গত২৪- এ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, বেশিরভাগ ভারতীয় কূটনীতিক ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্ত হয়ে অল্প দূরত্বে অবস্থিত একটি শহর লভিভে চলে গিয়েছিলেন।

এদিকে রবিবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতে এক সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর আসে।ওই লভিভ শহর থেকেই।
পোল্যান্ড লাগোয়া পশ্চিম ইউক্রেন সীমান্তে লিভিভ শহরে রুশ সেনার হানায় নিহত হয়েছেন মার্কিন সাংবাদিক ব্রেন্ট রিনাড (Brent Renaud)। তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগী চিত্র সাংবাদিকও গুরুতর জখম।
জানা গিয়েছে, নিহত সাংবাদিক ব্রেন্ট রিনাড নিউইয়র্ক টাইমসের কর্মী ছিলেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন যাবত এইচবিও ( HBO), এনবিসি (NBC), ডিসকভারি( Discovery), পিবিসি ও ভাইস নিউজের মত সংবাদ সংস্থা ও নিউজ চ্যানেলে কাজ করেছেন।
সূত্রে খবর, ইউক্রেনে মার্কিন ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক ব্রেন্ট রিনাডকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ইউক্রেনের তরফে এই সাংবাদিকের মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকে দায়ি করা হয়েছে।

আর এর পরেই কড়া বিবৃতি জারি করেছে আমেরিকা।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসে সেনা প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। রুশ সেনা হামলায় ওই সাংবাদিকের সঙ্গে আরও ৩৫ জন সমাজ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে আমেরিকার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১২৭ জন বিদেশী নাগরিক।
আহত ও নিহতদের অন্যত্র সরিয়ে আনতে ইউক্রেনে মার্কিন সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিতে পারে হোয়াইট হাউস। সেক্ষেত্রে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে বলে আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *