আজ খবর ডেস্ক- সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না বীরভূমের কেষ্ট’দার! বাগটুই(Bagtui) কাণ্ডের আগে থেকেই “গরু পাচার” নিয়ে বারবার সিবিআইয়ের ( CBI) ডাক পড়ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের( Calcutta High Court) রায়, তদন্তে ডাক পড়লে যেতেই হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। হাজিরা কোনোমতেই এড়ানো যাবে না।
মঙ্গলবার আদালতের এই রায় সামনে আসার পরেই কিঞ্চিৎ উদ্বিগ্ন অনুব্রত শিবির। এমনকি, প্রকাশ্যে কিছু না বললেও অনুগামীদের আক্ষেপ “দাদার এই বিপদের সময় ঠিকভাবে পাশে দাঁড়াচ্ছে না দল”।

অতএব ভরসা “ভগবান”। বেশ ঘটা করেই মহাযজ্ঞের আয়োজন হয়েছে। মঙ্গলের শেষ বেলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা গেল এই যজ্ঞস্থল ঘিরে। যদিও অনুব্রত মণ্ডল নিজে হাজির ছিলেন না এই যজ্ঞে। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাধারন সম্পাদক সহ অন্যান্য বেশকিছু নেতাকর্মী এবং দলীয় পদাধিকারী এই যজ্ঞস্থলে ছিলেন।

ত্রিদিব ভট্টাচার্য নামে ওই সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও হাসন কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক চ্যাটার্জী এবং তারাপীঠের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখার্জি হাজির ছিলেন সেখানে।

গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ মিলেছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সেসময় আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, গরু পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুগ্রহের জেরা করতে পারলেও গ্রেফতার করতে পারবে না। সেই সময় মহা ধুমধামে আরেকটি যজ্ঞ করা হয়েছিল। যা কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা নিয়েছিল বলে বিরোধীদের দাবি।
তবে মঙ্গলবার আদালতে রীতিমত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবিকে। স্পষ্টতই বিচারপতি জানান, আদালতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ৪বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রত মণ্ডল কে নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু সেখানে না গিয়ে তার বদলে তাঁকে যাতে গ্রেফতার না করা যায় সেই কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। নিন্দুকেরা বলছেন, এবার তাই মহাযজ্ঞ করে বিপদ এড়াতে চাইছেন বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *