আজ খবর ডেস্ক- দোরগোড়ায় উপনির্বাচন। প্রচার চলছে জোরকদমে। আর এরইমধ্যে সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার জেরে সোমবার এক কর্মীসভায় রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গেল ।
বালিগঞ্জের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় ( Subrata Mukherjee) গত বছর কালীপুজোর রাতে মারা যান। ফলে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়( Babul Supriyo)। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন বাবুল। সোমবার বাবুল মনোনয়ন পেশ করার পরেই সন্ধেবেলা তৃণমূলের একটি কর্মীসভা ছিল।
এই কর্মীসভা চলাকালীন হঠাৎই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয় । তাতেই বাঁধে বিপত্তি । আর সেই কথা কাটাকাটিই কিছু সময় পরে রূপ নেয় রক্তারক্তি কান্ডে।
সভা চলাকালীন প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান কাউন্সিলরের স্বামী সুশীল কুমার শর্মা মার খান। জানা গেছে , সুশীলবাবুর স্ত্রী ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । অভিযোগ, দলের অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন সভার মাঝেই প্রাক্তন আরএসপি ( RSP) কাউন্সিলর সুশীলবাবুকে মারধর করে । এর ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এর জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই থমথমে এই এলাকা। তৃণমূল নেতারা এদিন প্রচার চালান কিঞ্চিৎ নীচু তারে।
এর আগে, বাবুলের নাম তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম প্রতিবাদ জানায় ইমামদের সংগঠন। বাবুল বিজেপি সাংসদ হিসেবে অতীতে যা যা বলেছেন, তারপরে তাঁকে প্রার্থী মানতে নারাজ, বলে জানায় এই সংগঠন। এর পরে তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে এই সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাবুল সুপ্রিয়।
অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার ভোটেও যথেষ্ট বিতর্ক হয়। দলের থেকে টিকিট না পেয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চ্যাটার্জি ওই ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান। উল্টোদিকে দলের তরফে প্রার্থী হন সুব্রতর রাজনৈতিক শিষ্য সুদর্শনা মুখার্জি। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় সেসময়।
এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় কে নিয়ে প্রাথমিক সমস্যা কাটলেও সোমবারের ঘটনা আরেকবার ছন্দপতন হল। এখন প্রশ্ন, এই অস্বস্তি কাটিয়ে কিভাবে বাবুল কে জিতিয়ে আনবে ঘাসফুল শিবির।