আজ খবর ডেস্ক- ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় রামপুরহাটের ঘটনায়। ১১ জন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রামপুরহাট গণহত্যার কাণ্ডের রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও। রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল।
এদিকে, রামপুরহাট কাণ্ডে ১১ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি।
যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করে ও রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।
এদিন, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে, অনুব্রত মণ্ডলের টিভি তে ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের তত্ত্বকে নস্যাৎ করে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।
ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরে রামপুরহাট হাসপাতাল ঘুরে সার্কিট হাউসে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে এই ঘটনা যে শাসক দলের পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর, তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এবার এই ঘটনার অভিঘাত পৌঁছল কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে।
রাজ্যকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে রামপুরহাট কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দিতে বলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন এ বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ( Amit Shah) কাছে যান সুকান্ত মজুমদার।
অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানান , আগামী তিন দিনের মধ্যে রামপুরহাট কান্ডের রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ’সহ বিজেপির অন্যান্য সাংসদরাও শাহী দরবারে গিয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার আরও জানান , এ রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় আসবে কেন্দ্রীয় দল।
তিনি এদিন জানান, তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে । এই ঘটনার রিপোর্ট পাওয়ার পর বাংলায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ের অফিসারদের একটি টিম ।
এদিকে এদিন রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন চলার সময় তুলকালাম হয়। ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রামপুরহাটে উপপ্রধানের খুনে এনআইএ তদন্তের দাবি করেন।গ্রামবাসীদের পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি করার পাশাপাশি এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইলেন তিনি।
শুভেন্দু আরও বলেন, যতক্ষণ এই সব দাবি পূরণ না হবে,ততক্ষণ তিনি বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ করবেন।
কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে এদিন বিকেল ৪টের সময় রাজভবনে যান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপাল এখন দার্জিলিংয়ে। তাই রাজভবন থেকে ভিডিও কলে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করবেন বলেও জানান।*
রামপুরহাটের ঘটনা কে বাম আমলের “ছোটো আঙারিয়া” বলে অভিহিত করেন শুভেন্দু অধিকারী।