আজ খবর ডেস্ক- গত বৃহস্পতিবার ১৯ বছরের তৃণমূল সমর্থক তুহিনা খাতুনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে এলে তা সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অবিলম্বে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে বলে দাবি জানান এলাকার একাধিক বাসিন্দারা ।
ঘটনাটি বর্ধমান পৌরসভা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা । ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পরেই উদ্ধার হয় তৃণমূল সমর্থক তরুণী তুহিনা খাতুনের ঝুলন্ত দেহ ।
সূত্রের খবর , তুহিনারা তিন বোন এবং তারা সকলেই তৃণমূলের সমর্থক বলে জানায় মৃত তরুণীর বাবা ধনাই শেখ । তবে তারা জয়ী কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিপক্ষ গোষ্ঠী, জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মুক্তার মিঞার অনুগামী। ।
এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দাদের দাবি , অনেক আগে থেকেই তাদরকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর সে কারণেই গাছের ডাল থেকে তিনটি মেয়ের ঝুলে থাকার ছবি এঁকে যাওয়া হয়েছিল বাড়ির সামনের দেওয়ালে এবং ফলপ্রকাশের পর বাদশার ভয়ে ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন।
অভিযোগ, জয় লাভের পর ওই তরুণীর বাড়িতে এসে জয়ী কাউন্সিলর হুমকিও দিয়ে গেছেন। তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আর তারপরই ঘটে সেই মর্মান্তিক ঘটনা। গোটা ঘটনায় ভয়ে সিঁটিয়ে আছে ওই তরুণীর পরিবার।
আর এই ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ হাজরা। তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গেও অশ্লীল আচরণ করে এবং ভয় দেখায়।
এসএফআই এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বর্ধমানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।