আজ খবর ডেস্ক- দিনকাল বদলেছে। বহু বাঙালি অভিভাবকই আজকাল কিঞ্চিৎ শ্লাঘা বোধে বলেন, আমার বাচ্চার “বাংলাটা ঠিক আসে না”!
এমন নয় যে, এই সব শিশুই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করছে। তবু তাদের কাছে কার্টুন আর কমিকস মানেই “ডোরেমন”(Doremon), “পোকেমন”(Pokemon), “ব্যাটম্যান”(Batman), “শিনচ্যান” (shinchan)। বাংলার গোপাল ভাঁড়, হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল বা নন্টে ফন্টে মোটেও নাকি পাত্তা পায় না হালফিলের খুদেদের কাছে।
প্রশ্ন উঠেছে, কেন?

বাংলা সাহিত্য থেকে এই প্রজন্মের একাংশ আগেই মুখ ফিরিয়েছে। কিন্তু, করোনার ঠেলায় দীর্ঘদিনের অনলাইন পড়াশোনার অভ্যেসের ফলে বইয়ের জগৎ থেকে পাকাপাকি মুখ ফিরিয়েছে শিশুরা।
স্কুল খোলার পর আবার যখন অফলাইন অর্থাৎ বই খাতার মাধ্যমে পড়তে হচ্ছে, মোটেই নাকি আগ্রহ নেই তাদের। যা রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে শিক্ষক মহলকে।
এবার তাই একটু অন্য পথে হাঁটতে চাইছেন “স্যার – ম্যাডাম”রা। পথ দেখাচ্ছে পাশের শহর হাওড়া। পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বাংলা কমিকস(Comics)।

হাওড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষাক্ষেত্র। এই স্টাডি সেন্টারের অভিনব উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সব মহলের। বাগনানের বিভিন্ন ব্লক থেকে এখানে পড়তে আসে বাচ্চারা। আধুনিক, উচ্চবিত্ত সমাজ লকডাউনের পরে যে সমস্যার মুখে পড়েছে, সেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এই স্টাডি সেন্টারের শিক্ষকরাও। তারপরেই তাঁদের মনে হয়েছে, বাংলার পড়ুয়াদের বই মুখী করতে বাংলা কমিকসের সাহায্য নেওয়া যাক।

স্কুল চালু হতেই এখানকার লাইব্রেরীতে এসেছে রঙচঙে কমিকসের হরেক সম্ভার। আর তাতে কিছুটা হলেও অন্তত ছবিটা বদলেছে। মন দিয়ে না পড়লেও অন্তত রঙিন মলাট, মজাদার ছবির টানে বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছে ছোটরা।
তিনি আর নেই। তবু বাংলা কমিকসের মুকুটহীন রাজা নারায়ণ দেবনাথ এই খবর জানলে নিঃসন্দেহে তৃপ্তি পেতেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *