আজ খবর ডেস্ক- দোলের আগে থেকেই হাওয়ায় গরম ভাব। বেলা বাড়লেই রোদে যেন গা পুড়ছে! ইতিমধ্যেই অফিসে, বাড়িতেই শুধু নয় বাতানুকুল (ac) বাসের অপেক্ষায় থাকছেন অনেকেই।
ছাতা, টুপি, রুমাল, জলের বোতল নিয়ে পথে বেরোচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। কারণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন। দিনের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। আর এর মধ্যেই “অশনি” সংকেত দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আগামী ৫/৬ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। হাওয়ায় শুকনো টান থাকবে। তবে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে প্রবেশ করায় অস্বস্তির অনুভূতি বাড়বে।
অন্যদিকে, ভারত মহাসাগরে( Indian Ocean) তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি (Low pressure) উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর অ়ঞ্চলে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। নিম্নচাপের মুখ উত্তর-পূর্ব দিকে। ফলে সেটি পৌঁছবে আন্দামান সাগরের কাছাকাছি।
১৯ নার্চ নাগাদ সেটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২০ মার্চ নাগাদ তা আরও ঘনীভূত হয়ে, গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর অভিমুখ হবে সোজা উত্তর দিকে অর্থাৎ তা ওপরের দিকে অগ্রসর হবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গা ঘেঁষে।

গতবছর ইয়াস ( yaas) আছড়ে পড়েছিল। এবার “অশনি” (Asani), নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবছর ২১ মার্চ নাগাদ এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে তা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। যাবে মায়ানমার (Myanmar) এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) উপকূলের দিকে।
যদিও হাওয়া অফিস বলছে, কোনওভাবেই এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশা উপকূলের দিকে আসবে না। ২২ মার্চ সকালের দিকে সেটি বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূলের কাছে গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।

বৃহস্পতিবার দিল্লির মৌসম ভবন (Mausam Bhavan) সূত্রে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই সময়ের মধ্যে একদিকে যেমন সমুদ্র অশান্ত হবে অন্যদিকে বৃষ্টিও বাড়বে। যার জেরে ১৭-২১ মার্চের মধ্যে আন্দামান নিকোবর ( Andaman Nicobar) এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। ১৮ মার্চ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত দিয়ে শুরু হলেও ওইদিনই আন্দামান নিকোবরের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ১৯, ২০ এবং ২১ মার্চেও আন্দামান-নিকোবরের বেশিরভাগ জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২২ মার্চ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকবে।

এদিকে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কm সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রারও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ বর্তমানে দিনে ও রাতে যে তাপমাত্রা রয়েছে, তাই আগামী কয়েকদিন বজায় থাকবে।
তবে উপকূল এলাকায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কারণ হাওয়া যেকোনো সময় তার অভিমুখের পরিবর্তন ঘটাতে পারে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *