আজ খবর ডেস্ক- চা এর সঙ্গে ভারতীয়দের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চা ভারতে একটি জনপ্রিয় পানীয় এবং এক কাপ চা দিয়ে দিন শুরু করার জন্য প্রত্যেকেই অপেক্ষা করে থাকে। তবে চায়ের সাথে কি ফিটনেসের কোন যোগ আছে?
হ্যাঁ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ল্যাভেন্ডার দুধের চা হল বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর চা।
এটি দুধে ল্যাভেন্ডুলা অ্যাঙ্গুস্টিফোলিয়া গাছের থেকে কিছু শুকনো ল্যাভেন্ডার ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই উদ্ভিদটিকে ইংরেজ চিকিৎসক, জন পারকিনসন বলেন যে, ল্যাভেন্ডুলা গাছটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে ধন্বন্তরির মত কাজ করে। এই সুগন্ধি চায়ের মিশ্রণটি প্রত্যেক ইন্দ্রিয়কে জাগিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে এবং শরীরের ভেতর থেকে রোগ নিরাময় করে।
শুকনো ল্যাভেন্ডারের সাথে প্রোটিন-সমৃদ্ধ দুধের সংমিশ্রণ শক্তি পুনরুদ্ধার ও বৃদ্ধি করতে, মেজাজ ভাল করতে, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তা ছাড়াও, ল্যাভেন্ডার বিভিন্ন প্রাচীন ও সনাতনী চিকিৎসায় অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয় । মূলত, এই চা রাতে শোবার আগে খেতে হয়।
প্রাকৃতিক রোগ নিরাময়কারী হিসাবে কাজ করে এবং স্নায়কে শান্ত করতে সহায়তা করে এই ল্যাভেন্ডার চা।
ল্যাভেন্ডার গাছের যে উপাদানগুলি এটিকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর করে তোলে, তা হল:
১) সিনেঅল: এটি একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যা ফুসফুস থেকে শ্লেষ্মা অপসারণে সহায়তা করে।
২) ট্যানিন: এটি শরীরের প্রদাহজনক প্রক্রিয়া কমায় এবং শ্বাসতন্ত্রের শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে আলসার নিরাময় করে।
৩)সিট্রাল: এটি চোখের সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যানালজেসিক প্রভাব সহ এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে ।
৪)উরসোলিক অ্যাসিড: এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, প্রাকৃতিক পেসমেকার হিসাবে কাজ করে, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরকে সহায়তা করে।
৫)ভ্যালেরিক অ্যাসিড: এটি কোলনের কার্যকারিতা উন্নত করে।