আজ খবর ডেস্ক- চোখ ধাঁধানো সাফল্য একই বলে বোধহয়! মনে পড়ে যায়, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের “আপ” কে।
এবার পুরভোটে চমক দিল দার্জিলিং পুরসভা।
মাত্র তিন মাস আগে চালু হওয়া “হামরো পার্টি” (Hamro Party)দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ১৮টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে।
এই মুহূর্তে পাহাড় রাজনীতি থেকে কার্যত হারিয়ে গেলেন বিমল গুরুং(Bimal Gurung), বিনয় তামাং(Binay Tamang)।

২০২১ সালের নভেম্বরে(November) যাত্রা শুরু করে এই দল। এমনকি, এও শোনা যায় নতুন দল তৈরির জন্য নাকি রীতিমত ক্রাউড ফান্ডিং(crowd funding) শুরু করেছিলেন এই দলের সদস্যরা।
মূল কারিগর অজয় ​​এডওয়ার্ডস (Ajay Edwards), দার্জিলিং এর বিখ্যাত রেস্তোরাঁ গ্লেনারিজ (Glenary’s) এর স্বত্বাধিকারী এবং একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী। তাঁর রাজনৈতিক দল “হামরো পার্টি”র নাম তিনি নিজেই
দিয়েছেন।

অজয় ​​এডওয়ার্ডস, প্রাক্তন GNLF নেতা এক সময়ের সুভাষ ঘিসিং( subhas ghising) পন্থী। মাঝে বেশ কিছুদিন পাহাড় রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ কোনও যোগাযোগ রাখেন নি।
এদিন দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি, রাষ্ট্র ও জাতীয় দল থেকে স্বাধীন থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এডওয়ার্ডস এবং তাঁর সহকর্মীরা নতুন দলের জন্য ১২২ টি পরামর্শ থেকে ৪টি নাম বেছে নিয়েছিলেন: জনশক্তি, জনতা কল্যাণ পার্টি, জন আওয়াজ এবং হামরো পার্টি।

নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচিত হলে হামরো পার্টির সভাপতি হিসেবে অজয় ​​এডওয়ার্ডস প্রতি বছর দার্জিলিং পৌরসভার জন্য ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব তৈরি করবেন।
জোর দিয়ে বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজ করতে হবে। কিন্তু তার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে রাজ্য এবং কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। অজয়ের এই বক্তব্য কে ভারতীয় গোর্খা প্রজাত্রান্তিক মোর্চা (বিজিপিএম) বলেছে “ইচ্ছাপূর্ণ চিন্তা”।

“হামরো পার্টি”র মতে, দার্জিলিং পুরসভা সম্পদের দিক থেকে বাংলার অন্যতম ধনী পুরসভা, এবং তাই এই পরিমাণ রাজস্ব তৈরি করা সম্ভব। তিনি রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং গ্যাস্ট্রোনমি, জাদুঘর, এবং স্কাইওয়াকের মত পর্যটক আকর্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রের প্রস্তাব করেছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোভিড কালে যখন দল ও পতাকা নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার(GJM) দুই শিবির, তখন “হামরো পার্টি” সরাসরি সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। “হামরো পার্টি”র সদস্যরা মিরিকের টোকলাং গ্রামে গিয়ে অভাবীদের সহায়তা করেন। 
এডওয়ার্ডস ফাউন্ডেশন, যেটির মালিক এডওয়ার্ডস পরিবার; এছাড়াও দার্জিলিং-এ একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিল, যেখানে দুজন চিকিৎসক প্রায় ১০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে পরীক্ষা করেছিলেন। 
এছাড়াও, দলের সদস্যরা বুধবার মিরিকের ঠোকার গোয়ান সমাজে হামরো পার্টির তরফে দেওয়া একটি যন্ত্র দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। দলটি গোপালধারার ৯জন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে এবং এমনকি তাদের বিনামূল্যে পরিবহণও দিয়েছে।
আর সে কারণেই বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংয়ের পরে পাহাড় রাজনীতিতে এল নতুন মুখ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *