আজ খবর ডেস্ক- আগে লালমাটির জেলা,বিশ্বভারতীর জেলা, বাউলের জেলা, বামাখ্যাপার জেলা হিসেবে পরিচিতি ছিল বীরভূম, যা এখন অতীত। কারণ বাঙালি এখন বীরভূমকে চেনে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা হিসেবে।

বীরভূম জেলার পাঁচ পুরসভার মধ্যে দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল তৃণমূল। আজ পুরভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, মোট ৯৩টি ওয়ার্ড এর মধ্যে ৯২টি তৃণমূলের দখলে।

সিপিএম জ্বলে রইল শিবরাত্রির সলতের মত মাত্র একটি ওয়ার্ডে। রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম মনোনীত বামপ্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক জিতলেন এই পুরভোট। কিন্তু জয়ের খবর সঞ্জীব মল্লিককে শুনতে হলো জেলে বসেই।

গত রবিবার ভোটের দিনে সিপিএম অভিযোগ করেন যে ওই ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল। সঞ্জীব মল্লিক খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে পৌঁছান। তারপর সংঘাত হয় দুই দলের মধ্যে এবং তার মধ্যেই ইভিএম মেশিন ভেঙে যায় আর সেই মামলার জেরেই জেলে সিপিএম নেতা সঞ্জীব মল্লিক ।

এদিন রামপুরহাট আদালতে তোলা হয় সিপিএম নেতা সঞ্জীব মল্লিককে। কিন্তু স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা সঞ্জীবের জয় পাওয়া নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে না, সম্ভবত তৃণমূলের রোষের আশঙ্কায়।

তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ জানান যে, সঞ্জীবের সঙ্গে যে মানুষ আছে এটা আবার প্রমানিত হলো । শাসক দলের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব এবং পুলিশের দালালি আমাদের প্রার্থীকে হারাতে পারেনি। ডেপুটি স্পিকার এবং রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে তারা দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখব কেন ওই ওয়ার্ডে তাদের পরাজয় হল ।

সিপিএম নেতাদের একটি বড় অংশ রামপুরহাট আদালতে পৌঁছন। সঞ্জীবকে তোলার সময় তাঁর পাশে দাঁড়াবেন নেতৃত্ব। বহুকাল ধরেই সিপিএমের দখলে রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। অনেকে বলেন যে এই এলাকায় নাকি লেনিনের হাঁড় পোতা রয়েছে। তাই এবারেও ১৫৪ ভোটে জয়লাভ করলেন সঞ্জীব।

এই নিয়ে কাউন্সিলারের চেয়ারে চতুর্থবারের জন্য বসবেন সঞ্জীব। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কোন সমস্যা হলে সব সময় হাজির থাকত সঞ্জীব। তৃণমূলের প্রবল দাপটের মুখেও লালঝান্ডার এই সৈনিক ধরে রাখলেন নিজের জায়গা ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *