আজ খবর ডেস্ক- এজন্য সেই রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের সংজ্ঞা, “শেষ হয়ে হইল না শেষ”।
রাজ্যজুড়ে পুরভোট শেষ হয়ে গিয়েছে, বহু জায়গায় বোর্ড গঠন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অথচ পুরভোটে ছাপ্পা, বুথ দখল ও রিগিংয়ের অভিযোগে বিরোধীদের তরফে আদালতে যে মামলায় করা হয়েছিল তার শুনানি এখনও চলছে।
সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা-সহ ৪ পুরসভা এবং ১০৮ পুর নিগমের নির্বাচনে ব্যাপক ছাপ্পা,বুথ দখল, রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে প্রতিটি ভোটের পর কলকাতা হাইকোর্টে আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করে বঙ্গ বিজেপি( BJP Bengal)।
সেই মামলায় ভোটগ্রহণের সময়ের সমস্ত সিসিটিভি(cc tv footage) ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল আদালত। এই মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ও যুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার, প্রধান বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সব অভিযোগ একত্র করে এই মামলার শুনানি হবে। এ জন্য ভোটগ্রহণের সময় ভোটারদের নথি পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। সে কারণে সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ
মামলায় বিজেপি তাদের অভিযোগের তদন্তে সিবিআই বা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ করার আবেদন জানিয়েছিল। সে কারণে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ কিছুটা হলেও শাসকদলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু বিজেপি নয়, বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও “নির্বাচনের নামে প্রহসনের” অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বীরভূমের দুবরাজপুর অথবা দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক পুরনিগমে ভোটের আগেই বোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের বহু জায়গায় মনোনয়ন পাওয়ার পরেও জোর করে সেই প্রার্থীকে দিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানো হয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে আরও একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় রয়েছে। এই পুরভোট শেষ হবার পরেই একদিকে যেমন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে ফের ডাকল সিবিআই (CBI), ঠিক তেমনভাবেই কাঁথি’র নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি কে তলব করেছে এনআইএ (NIA)।
তাই পুরভোট শেষ হবার পরেও এই নিয়ে মামলা এবং চর্চা, এই দুইয়ের কোনওটাই থামছে না বাংলায়।