আজ খবর ডেস্ক- বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শুরু করেছিলেন “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ”( Safe Drive Save Life) প্রকল্প। এমনকি এমনকি নিজে গান লিখেছিলেন, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন সেই গান গেয়েছিলেন। শহরের প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালের (Traffic Signal) পাশে বাজানো হয় সেই গান।
শুধু তাই নয় পথচারীদের সচেতনভাবে রাস্তা পেরনো, বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট থাকা, গাড়িচালকদের পাশাপাশি গাড়িতে যারা আছেন তাদেরও সিটবেল্ট বাঁধার মতো সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তার পরেও যতটা আশা করা গিয়েছিল সেই পরিমাণে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেনি।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে নয়া পরিবহণ আইন লাগু হয়েছে, তা মেনে চলছে রাজ্য সরকার ও। নির্দিষ্ট ট্রাফিক আইন মেনে না চললে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে অনেকটাই। এই নিয়ে আমজনতার মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে এ কথা সত্যি। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে এভাবেই রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবি, মানুষকে সতর্কতার বাঁধনে বাঁধতেই জরিমানার পরিমাণ সচেতনভাবে বাড়ানো হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মস্তিষ্কে আঘাত পান। মাথায় আঘাতের তিনটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল: মোটর গাড়ি, বাইসাইকেল, বা যানবাহন বেপরোয়াভাবে চালানোর ফলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা। প্রতি বছর ২০শে মার্চ ওয়ার্ল্ড হেড ইঞ্জুরি অ্যাওয়ারনেসন ডে (World Head Injury Awareness Day) হিসেবে পালিত হয় ।

এবার কলকাতা পুলিশের ( Kolkata Police) বিশেষ উদ্যোগ। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, পার্ক নিউরোসায়েন্স – দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউরোসায়েন্টিস্টস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (Park Neuroscience – The Association of Neuroscientists Of Eastern India) এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতা প্রেসক্লাবে ( Press Club) একটি সচেতনতা কর্মসূচির নেওয়া হয় শনিবার।
বেলা ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় অনুষ্ঠানটি ।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত কে গয়াল (Vineet Goyal) , কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (TP) সন্তোষ পান্ডে ( Santosh Pandey) , অরিজিৎ সিনহা (ডিসিপি ট্রাফিক) , গৌতম গাঙ্গুলী (ANEI-এর সভাপতি এবং BIN কলকাতার বিভাগীয় প্রধান), অধ্যাপক সন্দীপ চ্যাটার্জি, (ভিআইএমএস ও পার্ক ক্লিনিকের আহ্বায়ক ও বিভাগীয় প্রধান) ডাঃ কৌশিক শীল ( নিউরোসার্জন) ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *