আজ খবর ডেস্ক- পেট্রোল-ডিজেল ও গ্যাস সিলিন্ডারের পর এখন ওষুধও দামি হতে চলেছে। নির্ধারিত ওষুধের দাম বাড়াতে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাঁচামাল, পরিবহন খরচ, মাল বহনের হার, জ্বালানী, বিদ্যুৎ, ডিজেলের মতো ইউটিলিটি এবং কর ও শুল্কের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয় ওষুধের মূল্য । ১লা এপ্রিল থেকে প্যারাসিটামল সহ ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনশিয়াল মেডিসিনের (NLEM) অধীনে থাকা ৮০০ টি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ১০.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে ।

শুক্রবার ভারতের ন্যাশনাল ফার্মা প্রাইসিং অথরিটি নির্ধারিত ওষুধের দামে সর্বোচ্চ ১০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে। । অর্থাৎ সাধারণ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধের জাতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৮০০ টি ওষুধের দাম ১লা এপ্রিল থেকে বৃদ্ধি পাবে। দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত ব্যথানাশক থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সব কিছুতেই প্রভাব ফেলবে।

NPPA এর পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় , “বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার কার্যালয় দ্বারা প্রদত্ত ডাব্লিউ পি আই (WPI) ডেটার উপর ভিত্তি করে, ২০২০ সালের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ২০২১ ক্যালেন্ডার বছরে WPI-তে বার্ষিক পরিবর্তন ১০.৭৬৬০৭% হিসাবে কাজ করে।”

জ্বর, সর্দি কাশি , হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ ও রক্তশূন্যতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ অর্থাৎ প্যারাসিটামল, ফেনোবারবিটোন, ফেনিটোইন সোডিয়াম, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং মেট্রোনিডাজলের মতো ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পেতে চলেছে । এই তালিকায় এমন ওষুধও রয়েছে যা কোভিডের মাঝারি থেকে গুরুতর উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ড্রাগ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ওষুধ প্রস্তুতকারীদের সমস্ত অ-নির্ধারিত ওষুধের দাম ২০% বৃদ্ধি করার অনুমতি প্রদানের দাবি জানায়। যদিও এই দাবি সরকার এখনও কর্ণপাত করেনি। বীমা এবং মালবাহী মূল্য বৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়নের জন্যে আমদানিকৃত ওষুধের ব্যয় বৃদ্ধি পায়।

WPI-এর উপর ভিত্তি করে এনএলইএম-এ তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম বার্ষিক বৃদ্ধি পায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *