আজ খবর ডেস্ক- কবি বলেছিলেন, “রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে”। যান্ত্রিক অভ্যস্ততায় এখন আমাদের দিন কেটে যায়। আবিরের রঙে দোল পালন যেন সেই যন্ত্রের মত নিয়ম মেনে চলা জীবনের অঙ্গ।
রং অর আবির দিয়ে কোথাও কর্পোরেট লাউঞ্জে দোল পালন হচ্ছে, কোথাও আবার হরেক রঙের থেকেও পানীয়র সম্ভার বেশি। কোথাও যখন ঝাঁ-চকচকে সেলেবদের ভিড়, তখন সপ্তাহান্তের দোল কাটাতে কেউ পাড়ি দিচ্ছেন শান্তিনিকেতনে।
বসন্ত উৎসবের মধ্যে খুশি আর আনন্দ ছাড়াও রয়েছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার এক অনন্য অনুভূতি। শীত শেষে বসন্তের আগমন যেমন আমাদের চারপাশ এক অন্যরূপে রাঙিয়ে দেয়, ঠিক সেভাবেই যেন নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়া। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার সেই আমেজ যেন ফিরে পাওয়া গেল কলকাতার পাশে, বিধান নগরে।
বিধাননগরের এ জে ব্লক কমিটি (AJ block committee) প্রায় দু বছর পরে দোল উপলক্ষ্যে একটি মিলন উৎসবের আয়োজন করেছিল আজ।
এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বাউল সম্প্রদায় কে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় “প্রভাত ফেরি”। এক অন্য সকাল স্থানীয় মানুষের কাছে। যে সকালে এলাকাবাসীর ঘুম ভেঙেছে, “খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল। স্থলে, জলে, বনতলে লাগল যে দোল”… গানের কথায়, সুরে।
সেক্টর ৫, আকাশছোঁয়া আবাসন আর হরেক রকম অফিস বাড়ির ভিড়ে এদিন সকালে যেন উঠে এলো এক টুকরো বোলপুর। ভোর থেকে এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে এই প্রভাত ফেরি শেষ হওয়ার পরেও ছিল অন্য নানান আকর্ষণ।
এই পরিক্রমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এ জে পার্কে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ব্লকের অধিবাসীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। পেশাদার নন, অথচ নিছক শখেই কেউ গান গাইলেন, কেউ নাচ করলেন, কেউ আবার আবৃত্তি।
হাওয়ায় আবির উড়িয়ে, রং মেখে শিশুরাও অংশ নিয়েছিল এই অন্যরকম দোলে।