আজ খবর ডেস্ক- সোমবার রাজ্য বিধানসভায়(WB Assembly) তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বচসা বাঁধে এবং সেই গোলমাল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছোয়। দুই দলের বিধায়কদের মধ্যে মারপিট হয় এবং কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছিল সভাকক্ষ। সেই কারণে সাসপেন্ডও হতে হয়েছে বিরোধী বিজেপির ৫ বিধায়ককে।
আজ সকালে নিজের টুইটে তারই পাল্টা উত্তর দিতে চাইলেন বিজপির ইনফরমেশন টেকনোলজি(IT) সেলের প্রধান অমিত মালব্য(Amit Malavya)। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি ভিডিও টুইট( Tweet) করেন তিনি। সেই নিয়ে এখন রীতিমত শোরগোল ছড়িয়েছে চারদিকে।

এই টুইট করা ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলছেন যে বা যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদের খেলানো যাবে না তাঁদের চমকাতে হবে। তাঁদের বলতে হবে যে তাঁরা যদি ভোট দিতে যান তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তাঁরা বিজেপিকেই ভোট দেবেন। এরপর তাঁরা কোথায় এবং কিভাবে থাকবেন সেটা তাঁদের নিজের রিস্ক(Risk)।
আর যদি তাঁরা ভোট দিতে না যায় তাহলে বলে দেওয়া হবে যে তাঁরা তৃণমূলের সমর্থনে আছে। তাঁরা যেন ভালভাবে থাকেন, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন। তৃণমূল তন্দের সঙ্গে থাকবে।

নাগরিকদের ভোটাধিকারে এমনভাবে বাধাসৃষ্টি করার জন্য এবং প্রকাশ্যে হুমকি নিয়ে সরব হয়েছেন অমিত মালব্য। তিনি টুইটে লিখেছেন যে, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী বিজেপি ভোটার এবং কর্মকর্তাদের রীতিমত প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন যে তাঁরা যেন ভোট দিতে না যান। মালব্য আরও জানান, এই ধরণের
অপরাধীদের জেলে থাকা উচিত এবং বাংলায় এঁদের এসব কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয় নিয়ে বিচার চেয়েছেন।
পার্টি অফিসে বসে প্রকাশ্যে ভোটারদের দেওয়া পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের “হুমকি” ভাইরাল হয়ে গেছে। রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন( Election Commission Of India)। কমিশন সূত্রে খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় এই বিধায়ক গ্রেপ্তার হতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *