আজ খবর ডেস্ক- ক্ষমতা থেকে ইমরান খানের (Imran Khan) উৎখাত প্রায় নিশ্চিত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীও তাকে চেয়ার ছাড়তে বলেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী স্পষ্ট ভাষায় ইমরান খানকে বলেছে, তিনি যেন আসন্ন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (OIC) সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

ইমরানকে সমর্থনকারী ২৪ জন সাংসদ ইতিমধ্যেই তাকে এড়িয়ে গেছেন। সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া ও তিনজন সিনিয়র সেনাপ্রধান এবং জেনারেল নাদিম আঞ্জুম ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে প্রধান ষড়যন্ত্রকারি বলে সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর।

সূত্রের খবর , তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের মধ্যে, ইমরান খান শুক্রবার সেনাপ্রধান বাজওয়ার সাথে দেখা করেন। ইমরান খানের নীতি পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এ কারণে তার বিরুদ্ধে জনগণের পাশাপাশি তাকে সমর্থনকারী দলগুলোর ক্ষোভ চরমে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীও তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। এমনকি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) দলের বহুল প্রচারিত ট্রাম্প কার্ড, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ সেনাবাহিনী ও ইমরান খানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হন। পাশাপাশি জানা গেছে, জেনারেল রাহিল শরীফ ইমরান খানের নির্দেশে জেনারেল বাজওয়ার সাথে দেখা করতে পাকিস্তানে এসেছিলেন, কিন্তু সেনাপ্রধানকে বোঝাতে পারেননি যে ইমরান খানকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া উচিত।

জানা গেছে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় বক্তৃতা করার জন্য এবং আফগানিস্তান নিয়ে ইমরান খান যেভাবে মার্কিন ও পশ্চিমা দেশগুলির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন তাতে সেনাবাহিনীও প্রধানমন্ত্রী খানের প্রতি খুব ক্ষুব্ধ।

ইমরানের আত্মীয়রাও তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে ওআইসি বৈঠকের পর ইমরান খান আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ পাকিস্তানে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করলে পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণভাবে ওআইসি বৈঠক হতে দেবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধী দলগুলো ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *