আজ খবর ডেস্ক- ড্রাগন ফলের (Dragon Fruit) বৈজ্ঞানিক নাম Hiloceras Undus। কিউই (kiwi), পিচ (peach) এবং সবুজ আপেলের (green apple) মত এই ফলও বেশ জনপ্রিয়। এই ফল ভিয়েতনাম থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। ভারতে চারটি প্রধান ধরনের ড্রাগন ফলের চাষ হয়। গোলাপি ড্রাগন ফ্রুট, লাল রঙের এবং বেগুনি রঙের এবং হলুদ রঙের।
ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত অনেক ফল খাওয়া বারণ। কিন্তু এই ফল ডায়াবেটিস রোগী সহ সকলেই খেতে পারেন। কারণ এটিতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে।
এটি প্রধানত অলিক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত। ১০০ গ্রাম ফলে মাত্র ৬০ গ্রাম ক্যালোরি রয়েছে। এটিতে ৮.৮ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩.৬১ গ্রাম ফসফরাস এবং ০.৬৫ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে।
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (Vitamin C) রয়েছে যা রক্তের কোলেস্টেরল (cholesterol) কমাতে সাহায্য করে। ফলটির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এই ফলটি ফাইবার সমৃদ্ধ যা সঠিক হজমে সাহায্য করে। এতে স্বাভাবিকভাবেই চর্বি কম ফলে অতিরিক্ত ওজন প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও আছে ।
এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। এটি কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বাড়ায়। ভিটামিন সি এর মাত্রা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল এবং অতিরিক্ত ওজন কমায়, হার্টকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ড্রাগন ফলে কার্বোহাইড্রেটও থাকে।
ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকে ড্রাগন ফল যোগ করা যেতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-৩ যা শুষ্ক ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে এবং মুখের উজ্জ্বলতা দেয়। এটি চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। চুল ঘন, লম্বা করে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অপরিহার্য। কারণ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। অ্যানিমিয়ার কারণে গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের সময় শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। ড্রাগন ফলের বীজ ডেঙ্গুর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও খুবই উপকারী।