আজ খবর ডেস্ক- স্কুল সার্ভিস কমিশনে (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই(CBI)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জোড়া এফআইআর দায়ের হয়। এদিন ফের জেরার উদ্দেশ্যে নিজাম প্যালেসে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা ও উপদেষ্টা কমিটির বাকি সদস্যদের ডাকা হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে , কেন্দ্রীয় এজেন্সি এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের জেরা করা তথ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে। এবিষয়ে সিবিআই সূত্রের দাবি, জেরায় উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কক্ষে ডাকা হয়েছিল। সেটি ২০১৯ সালের ১ নভেম্বরের ঘটনা। তবে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার কথায়, এ বিষয়ে কোনও বৈঠকই ডাকা হয়নি।

জানা গেছে , শুক্রবার শান্তি প্রসাদ সহ উপদেষ্ট কমিটির বাকি সদস্যদের মুখোমুখি জেরা করার সম্ভবনা আছে । বৃহস্পতিবারও শুনানির সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, “শান্তি প্রসাদ নির্লজ্জের মত মিথ্যে বলে চলেছেন”।
একই সঙ্গে এই মামলার নির্দেশে একাধিকবার বিচারপতি জানান , “যদি কোনও রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তি গোটা বিষয়ের সঙ্গে জড়িত থাকেন তবে সিবিআই তাঁকে ডেকে জেরা করতে পারে । সে জন্য আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই”।

সূত্রের খবর , উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের জেরার ভিত্তিতে এক “প্রভাবশালী”কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুব শিগগির নোটিস পাঠানোর সম্ভবনা রয়েছে । এর কারণ হিসেবে জানা গেছে যে , ” নিয়োগ দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা কেবল এই পাঁচ জনের কাজ নয়। প্যানেলের বাইরে থাকা লোকের চাকরি হয়ে যাচ্ছে আর সরকার বা শিক্ষা দফতরের বাকি কারও কাছে কোনও খোঁজ নেই তা হওয়া অসম্ভব। বরং কোনও এক জন বা একাধিক ব্যক্তির যোগসাজশ ছিল এই উপদেষ্টা কমিটির গঠনের নেপথ্যে ।
শান্তি প্রসাদ অবসর নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করার জন্য তদ্বির করেছিলেন । এক্ষেত্রে তাঁর কী স্বার্থ ছিল তাও তদন্ত করে দেখা হবে ।

এবিষয়ে। সিবিআইয়ের কাছে এখন দুটি মামলা রয়েছে । একটি হল গ্রুপ ডি পদে ৯৮ জনকে নিয়োগ বিষয়ক মামলা এবং অপরটি হল নবম ও দশম শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা।
দ্বিতীয় মামলাটির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হল, সেখান থেকে সরকার কোনও সুরাহা পায় কিনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *