আজ খবর ডেস্ক: DYFI Bengal “ক্রাউড ফান্ডিং”(Crowd Funding)। গত কয়েক বছরে পশ্চিমী দুনিয়া পেরিয়ে আমাদের দেশে ক্রমশ পরিচিতি পেয়েছে এই ধারণা।


এর অর্থ হল, কোনও একটি উদ্যোগ বা ভাবনা বাস্তবায়িত করতে সম-মনোভাবাপন্ন মানুষের থেকে আর্থিক সাহায্য নেওয়া।
একক ভাবে ফিল্ম(Independent Film) বানানো থেকে ভোটের প্রচার, নানা কারণে এই ভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এখানে বলে রাখা যেতেই পারে, আমাদের রাজ্যে বাম সংস্কৃতির(Left Culture) সঙ্গে এই ক্রাউড ফান্ডিং বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। অতীতে বহুবার দেখা দিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামের (Vietnam) সাহায্য পাঠানোর বিষয় হোক অথবা বন্যা ত্রাণের সাহায্য; পথে নেমে সাহায্য তুলছেন বাম নেতৃত্ব। বিমান বসু হন অথবা সূর্যকান্ত মিশ্র, এই কারণে বহুবার অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁদের।


কিন্তু বাম নেতৃত্তের বক্তব্য, এর ফলে সমাজের বৃহত্তর অংশের মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও প্রবীণ সিপিআইএম(CPIM) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি(Kanti Ganguly) কে দেখা গিয়েছিল, ভোটের প্রচার এর জন্য “অর্থ সংগ্রহ অভিযান” চালাতে। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন, ভোটের প্রচার চালাতে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয় তা জোগাড় করতেই সাধারণ মানুষের কাছে এই “হাত পাতা”।


দলের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস শেষ হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগেই। তার আগে রাজ্য সম্মেলন, নতুন রাজ্য কমিটি গঠন। সেখানেও দেখা গিয়েছে তুলনায় যুব ও তরুণ মুখ সামনের সারিতে নিয়ে আসছে আলিমুদ্দিন। এবার দলের যুব সংগঠনের (DYFI) সর্বভারতীয় সম্মেলন। সেখানেই নয় চমক দিতে চলেছে সিপিএম।

২৭ বছর পরে ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সম্মেলন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বলা ভালো কলকাতার অনতিদূরে, বিধাননগরেBidhan Nagar)।


সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুব নেতৃত্ব আসবেন। আগামী ১২ই মে কলকাতায় হবে প্রকাশ্য সমাবেশ। ১২-১৫ই মে এই সম্মেলন চলবে সল্টলেকের ইজেডসিসিতে(EZCC)।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পলাশ দাস (Palash Das) aajkhobor.com কে জানালেন, “এই মুহূর্তে যুব সম্প্রদায়ের সামনে ইতিবাচক ভবিষ্যত নেই। চাকরি নেই, যতটুকু আছে সেখানে আবার ন্যূনতম সুরক্ষা টুকুও নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থান। করোনার সময় প্রশাসনের তরফে যে কাজ করার কথা ছিল তা তারা করেনি। আমাদের ছাত্রযুব’রাই রেড ভলেন্টিয়ার (Red Volunteer) হিসেবে রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের জন্য নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে কাজ করেছে। এই সম্মেলনে সচেতনভাবেই একদিকে যেমন আমরা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি, সম্মেলনস্থলের নাম দিয়েছি “মারাদোনা নগর”। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের ও চেষ্টা করছি।” এমনকি সোমবার হিঙ্গলগঞ্জ পালিত হল “সুন্দরবন বাঁচাও” কর্মসূচি। লাগানো হলো ম্যানগ্রোভ চারা।

ইতিমধ্যেই দলের যুব নেতৃত্বের সম্মেলন উপলক্ষে ব্যাপক প্রচার চলছে যুবসমাজের মধ্যে। কর্মসংস্থানের দাবিতে, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গড়ার দাবিতে জেলায় জেলায় প্রচার হচ্ছে। সেমিনার, নানারকম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ব্যান্ড ফেস্ট, ফিল্ম ফেস্টিভাল হবে। সল্টলেকের পূর্বশ্রী (EZCC) অডিটোরিয়াম চত্বরেই হবে প্রদর্শনী, বুক ফেয়ার(Book Fair)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *