আজ খবর ডেস্ক- পুরীর (Puri) অন্যতম প্রধান আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। প্রতিবছর প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে।
সেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেই চললো হামলা । দুষ্কৃতীদের ভাঙচুরে ধ্বংস হয়ে গেছে শতাব্দীপ্রাচীন ৪০ টি মাটির উনুন। যেখানে জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না হতো বলে জানা যাচ্ছে।
তবে কে বা কারা এই ভাঙচুরের নেপথ্যে রয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন(CC TV) ফুটেজ। জানা গিয়েছে, ওই মাটির উনুনগুলি দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি।

গত শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই ঘটনার জন্য এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ওড়িশা পুলিশ। এই বিশ্ববিখ্যাত মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুরীর জেলাশাসক। ভাঙচুরের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা অবশ্য এখন ও অজানা। এমনকি, এই অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্য পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে অজয় কুমার জানা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, দুদিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে এবং যারা এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, মন্দিরের অন্দরে দুই সেবাইত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যথাসাধ্য মেরামত করার চেষ্টা চলছে।

ক্ষতিগ্রস্ত নানান জিনিস আবার যাতে ভক্তদের সামনে তুলে ধরা যায়, সেদিকে নজর রেখেছেন মন্দিরের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি কমিটি। পুজোর জন্য যথারীতি আবার মহাপ্রসাদ রান্না করাও শুরু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে এই ঘটনা কে ঘিরে।

সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে সবশুদ্ধ ২৪০টি ‘চুল্লা’ বা উনুন রয়েছে আর পাঁচশোর বেশি সেবাইতরা এখানে রান্না তথা ‘সুয়ারা’ করেন।
এখানেই জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার ভোগ প্রস্তুত করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার বর্গ ফুট এলাকা বিস্তৃত এই রান্নাঘরে রয়েছে বড় বড় ঘর যেগুলোর উচ্চতা ২০ ফুট। ৪ ফুট দীর্ঘ উনুনগুলি এমন ভাবে প্রস্তুত, যার ফলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই রান্না করা যায়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই উনুনে তৈরি ভোগ গ্রহণ করেন ।উৎসবের সময়ে সেই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *