আজ খবর ডেস্ক: করোনার (Corona) চতুর্থ ঢেউ(Fourth Wave) রুখতে বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নেওয়া হবে এই কর্মসূচি। এদিন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, অতিমারী (pandemic) মোকাবিলায় টিকাকরণকেই প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে সতর্কতা ডোজের (Precaution Dose) ওপর জোর দিতে হবে।

এদিন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি।
এই বৈঠকে মোদি জানান, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ৯৬ শতাংশ মানুষ অন্তত একটি ডোজ ভ্যাকসিন (Vaccine) ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন।


১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ নাগরিক অন্তত দুটি করে কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশে ইতিমধ্যেই প্রিকশন ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখন প্রাপ্তবয়স্করা প্রিকশন ডোজ পেতে পারেন। রাজ্যগুলিকে মোদির পরামর্শ, দেশের সব নাগরিককে এবার সতর্কতা ডোজ নেওয়ার ব্যাপারেও উৎসাহ দিতে হবে।

মোদির পরামর্শ, “ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ দেখা গেলেও দ্রুত আরটি-পিসিআর (RT-PCR) টেস্ট করাতে হবে। পজিটিভ এলে জিনোম সিকোয়েন্সিং করাতে হবে। যাতে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা যায়।”


তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিজ্ঞানীরা এবং বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। তাঁদের পরামর্শের ওপর নির্ভর করে প্রো-অ্যাকটিভ এবং সমষ্টিগত দৃষ্টিভঙ্গির সাথে কাজ করতে হবে। কোভিড -19 টিকা (Covid vaccine) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত শিশুদের জন্য স্কুলগুলিতে বিশেষ প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। এ বিষয়ে অভিভাবক ও শিশুদের সচেতনতা খুবই জরুরি।” প্রধানমন্ত্রী মোদি মেডিকেল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালে পরিকাঠামো এবং জনবল বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।

শুধু বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই নন, এদিনের বৈঠকে যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ছিলেন, ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel) ও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক সূত্রে খবর , গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৯২৭ জন। গতকালের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১২০০এর বেশি। নতুন করে চিন্তায় ফেলছে মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের হারও।
রাজধানীতে দিল্লিতে করোনা চোখ রাঙানোয় সব মিলিয়ে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ১৬ হাজার ২৭৯। গোটা দেশে এই হার আপাতত ০.০৪ শতাংশ।

দৈনিক মামলার ইতিবাচকতার হারও ০.৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ০.৫৮ শতাংশে ঠেকেছে । সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার ০.৫৯ এ দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,০৫,০৬৫টি কোভিড নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৮৩.৫৯ কোটি পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৫৪।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *