আজ খবর ডেস্ক- America-India দশক পুরনো বলিউড(Bollywood) ছবির একটি গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। গীতিকার, কবি জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) সেই লিরিকের সারমর্ম ছিল, পাখি-নদী অথবা হাওয়ারগতিপথ কখনও দেশ কালের সীমানা মানে না। America-India
যুগের পর যুগ ধরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বারবার এই প্রশ্ন এসেছে। ধর্মের কি কোন গণ্ডি হয়? নাকি গায়ের রঙ নির্বিশেষে ধর্মবিশ্বাস কে বেঁধে রাখা সম্ভব? একসময় গৌতম বুদ্ধের আদর্শে শুধু ভারত নয়, উদ্বুদ্ধ হয়েছিল তিব্বত (Tibet) থেকে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। কৃষ্ণ প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে পৃথিবীর বহু প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে।

আরেকবার যেন ঠিক তেমনই নিদর্শন মিলল! এখন শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও দেখা মিলবে বিশুদ্ধ ভারতীয় “ঈশ্বরের”।
কারণ, ভগবান গণেশের নামে নামকরণ করা হল আমেরিকার এক রাস্তার। নিউইয়র্কের(New York) একটি বিখ্যাত মন্দিরের বাইরের রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ‘গণেশ টেম্পল স্ট্রিট'(Ganesh Temple Street)। আগে এই জায়গার নাম ছিল ব্রাউন স্ট্রিট, যা পরিবর্তন করে গণেশ টেম্পল স্ট্রিট করা হয়েছে।

১৯৭৭ সালে মার্কিন দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিন্দু মন্দির ‘মহা বল্লভ গণপতি দেবস্থানম’ । এটি উত্তর আমেরিকার প্রথম এবং প্রাচীনতম হিন্দু মন্দির বলে বিবেচিত হয়।
এই হিন্দু মন্দিরটি কুইন্স কাউন্টির ফ্লাশিং-এ অবস্থিত। মন্দিরের বাইরের রাস্তার নাম বুন স্ট্রিট, আমেরিকান ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রবক্তা এবং দাসত্ব বিরোধী আন্দোলনের অগ্রদূত জন বুনের নামে নামকরণ করা হয়েছিল এই সরণির।

রীতিমত ধূপ ধুনো জ্বেলে, গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ সহযোগে পুজো করে এই রাস্তার নামকরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে ভারতের কনসাল জেনারেল রণধীর জয়সওয়াল,
কুউন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোভান রিচার্ড, ডেপুটি কমিশনার ফর ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট, ইনোভেশন মেয়র এরিক অ্যাডামস, দিলীপ চৌহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার ওই এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *