আজ খবর ডেস্ক- মহারাষ্ট্র পেরেছে। পেরেছে দক্ষিণের সব রাজ্য গুলো। এতদিন কার্যত হিন্দি আগ্রাসন চলেছে এই রাজ্যের প্রায় সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে(Cinema Hall)।
পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) সমস্ত সিনেমা হলে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক। এবার নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন(Nabanna)।

অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ধরে বাংলার মাটিতেই বঞ্চিত হচ্ছে বাংলা সিনেমা। বারবার অভিযোগ উঠেছে, সুবিধেজনক সময়/শো পাচ্ছে না বাংলা সিনেমা। তাই বাংলার সমস্ত সিনেমা হলে প্রাইম টাইম সহ কমপক্ষে ৫০% স্লটে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েছিল বাংলা পক্ষ(Bangla Pokkho)।

এবার নড়ে চড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন সিনেমা হলে গত তিন বছরে ঠিক কতগুলো বাংলা সিনেমা দেখানো হয়েছে, তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নবান্ন।
সোমবার রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সমস্ত মাল্টিপ্লেক্স(Multiplex) এবং সিঙ্গল স্ক্রিন(Single Screen) হলকে।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ওই রিপোর্ট পাঠাতে হবে সরকারের কাছে।
এই চিঠিতে সই করেছেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা। এমনকি চিঠিতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি হলে বাংলা সিনেমার প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। এর পরেই গত তিনটি আর্থিক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন সিনেমা হলে বাংলা সিনেমা প্রদর্শনের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর কথা লেখা হয়েছে।

২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ, ২০২০র ১ এপ্রিল থেকে পরের বছরের ৩১ মার্চ এবং ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ মাস পর্যন্ত কোন হলে কত সংখ্যক বাংলা সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যেরই একটি সংগঠন “বাংলা পক্ষ”র তরফে এই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিতে সমর্থন জানিয়ে সই করেছিলেন এই বাংলার প্রতিষ্ঠিত বহু অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক।

সংগঠনের পক্ষ থেকে শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি aajkhobor.com কে বলেন, “অনেক দিন ধরেই হিন্দি এবং ইংরেজি সিনেমার ভিড়ে রাজ্যের সিনেমা হলগুলোতে উপেক্ষিত হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্র। অতিরিক্ত লাভের আশায় বাংলা সিনেমার জায়গায় হিন্দি বা ইংরেজি সিনেমা বেশি বেশি শো টাইম পাচ্ছে। গ্রামের দিকেও অনেক সিনেমা হলে ভোজপুরি সিনেমা চলছে। বাংলা সিনেমা বাঁচলে বাঙালির ব্যবসা হবে। বাংলা ভাষাও বাঁচবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *