আজ খবর ডেস্ক: দিল্লি (Delhi) সহ গোটা উত্তর ভারত জ্বলছে। প্রবল তাপপ্রবাহে (Heat Wave) উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বেশিরভাগ অংশ কার্যত ধুঁকছে। এর মধ্যেই বেহাল দশা বিদ্যুতের। তীব্র বিদ্যুৎ সংকট, ফলে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় দীর্ঘক্ষন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে দিল্লি,পাঞ্জাব,হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যে।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে দেশব্যাপী বিদ্যুতের গুরুতর পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই ভারত এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সংকটের মুখোমুখি। শুক্রবার, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ গত ২০ বছরের মধ্যে এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে । হাওয়া অফিসের আগাম ঘোষণা, আগামী কয়েকদিন সারাদেশে দাবদাহ অব্যাহত থাকবে।
The maximum All India
— Ministry of Power (@MinOfPower) April 29, 2022
⚡⚡⚡⚡⚡demand met touched 207111 MW at 14:50hrs today, an all time high so far!@PIB_India @DDNewslive @airnewsalerts @MIB_India @mygovindia @OfficeOfRKSingh
দেশ জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তাপপ্রবাহের ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাঘাতের সম্মুখীন হয়েছে। এরমধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে কয়লার গুরুতর ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে।
শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , ইউপির (Uttar Pradesh) বদায়ুন জেলায় সমাজবাদী পার্টির (SP) বিধায়ক আশুতোষ মৌর্য বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মচারীকে মারধোর করেছেন। জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে এসে রেজিস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। মৌর্যের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (FIR) করেছে ।
এদিকে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজধানী রাঁচিতে (Ranchi) গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক কয়েক ঘণ্টা করে প্রশাসনের তরফে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় মানুষের রোজকার জীবনযাত্রা ও ব্যবসা প্রায় থমকে গেছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক দোকানদার বলেন , “ব্যবসা বন্ধ, কারণ প্রতিদিন আমাদের ৩-৪ ঘন্টা কারেন্ট থাকছে না। ফটোকপি মেশিন সহ আমার একটি স্টেশনারি দোকান আছে। আমি ১৪-১৫ ঘন্টা খোলা থাকলেও আমরা মাত্র ৪-৫ ঘন্টা কাজ করতে পারছি।”
কংগ্রেসের (Congress) তরফে শুক্রবার বিজেপিকে (BJP) দায়ী করে বলা হয়েছে, গরমের সময় দেশে এমনিতেই জলবিদ্যুৎ (Hydel Power) কমে যায়। নদীতে জল থাকে না। বর্তমানে দেশে কয়লার সংকট (Coal Crisis) তীব্র হয়েছে। প্রয়োজনীয় তাপ বিদ্যুৎ (Thermal Power)না পাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারী শিল্প (Heavy Industry)।
ভারতের অর্থনীতি এমনিতেই কৃষিভিত্তিক। জলের অভাবে ক্ষতি হচ্ছে চাষের কাজেও। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা সোলার পাওয়ার (Solar Power)।
উত্তর ও মধ্য ভারতের এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই অব্যাহত শাসক-বিরোধী তরজা। কংগ্রেস অভিযোগ করছে , কেন্দ্রের অপশাসন এবং অব্যবস্থার কারণে গ্রীষ্মে এই সংকট দেখা দিয়েছে। মোদি সরকার সারা দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা বিতরণের জন্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করছে না। ফলে সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দাবি করেছেন, গোটা ভারতে বিদ্যুতের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক।