আজ খবর ডেস্ক: Prashant Kishor জাতীয় রাজনীতিতে আপাতত “সখ্যতাহীন” তৃণমূল কংগ্রেস(AITC) ও কংগ্রেস(Congress)। এদিকে প্রশান্ত কিশোরের(Prashant Kishor) রাজনৈতিক পরামর্শে শুধু এই রাজ্যেই নয়, ভিন রাজ্যেও শক্তি বাড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল।
এবার কি তবে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য প্রার্থী কংগ্রেস? সম্প্রতি বিহার সহ ৫ উপনির্বাচনে বিজেপি একটি আসন ও পায় নি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এখানেও প্রশান্ত কিশোরের হাতযশ রয়েছে। Prashant Kishor

এই জল্পনার মধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। গত ৪ দিনে ৩ বার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। অতীতে একাধিক বার রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা বঢরা গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা ভোটের কৌশল বানানোর জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন পিকে (PK)। কারণ জাতীয় রাজনীতিতে একদিকে যেমন এনসিপি (NCP) প্রধান শারদ পাওয়ার স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কংগ্রেস কে বাদ দিয়ে অবিজেপি জোট সম্ভব নয়, ঠিক তেমনই এই ৫ উপনির্বাচনের ফল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে “হাত” শিবিরের।

তথ্য বলছে, ১৬ এপ্রিল প্রথমবার ১০ জনপথে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাঁদের সামনে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটা রিপোর্ট ও পেশ করেন পিকে।
এরপর ১৮ এপ্রিল ফের সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন পিকে। যেখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) ছাড়াও ছিলেন কেসি ভেনুগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরজেওয়ালা, পি চিদাম্বরম, জয়রাম রমেশের মত কংগ্রেস নেতারা।
নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে আবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রশান্ত কিশোর। 
যেখানে তিনি বলেন, সময় নষ্ট না করে কংগ্রেস নেতৃত্বকে এখন থেকেই ২০২৪ লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।

এবার আসা যাক কংগ্রেসকে দেওয়া পিকে’র রিপোর্টে কী কী আছে, সেই প্রসঙ্গে;
১. দেশের মোট ৫৪৩ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে ৩৭০টি লোকসভা আসনে গুরুত্ব দিতে হবে।
২. যে আসনগুলোতে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বেশি সেখানে গুরুত্ব দিতে হবে।
৩. দুর্বল আসনগুলোতেও এখনই নজর দেওয়া দরকার।
৪. অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কংগ্রেসে সংগঠনিক পরিবর্তন প্রয়োজন।
৫. সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এতে যুব সমাজ অনেক বেশি প্রভাবিত হয়।
৬. প্রয়োজন অনুযায়ী আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসকে জোট করতে হবে। 
৭. পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসকে জোট করে লড়াইয়ের প্রস্তাব।


৮. বিহার, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশে কংগ্রসকে একক লড়াইয়ের প্রস্তাব।
৯. প্রদেশের নেতাদের সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রাত্যহিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ।

আলাপ আলোচনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসকে ভোট বৈতরণী পার করানোর দায়িত্ব নিতে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর রসায়ন ঠিক কেমন থাকবে তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *