আজ খবর ডেস্ক- KMC-Promoting কলকাতা পুরভোটে একচ্ছত্র আধিপত্য শাসক দলের। ১৪৪ কাউন্সিলরের মধ্যে বিরোধী সংখ্যা এতটাই কম, যে বিরোধী দলের তকমা পর্যন্ত মেলেনি।
এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রচার ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের থেকে সুবিধা পেয়েই মানুষ তাদের ভোট দিয়েছেন।
আসল ছবিটা এবার আপনাদের সামনে তুলে ধরা যাক। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় কার্যত অবাধে চলছে “প্রোমোটিং”। অর্থাৎ এক চিলতে ফাঁকা জমি মিললেই মাথা উঁচু করছে ফ্ল্যাট। KMC-Promoting
গাছ কেটে, বাগান পুড়িয়ে, সবুজ ধ্বংস করে ফ্যাট বানাচ্ছে স্থানীয় বিল্ডার। দেখাশোনার দায়িত্বে অবশ্যই শাসক দলের লোকজন।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের ছবি। দিনে দুপুরে এলাকার বিভিন্ন পাড়ায় প্রোমোটিং চলছে। স্থানীয় মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আওয়াজ, ধুলো, দূষণ ছাড়াও অবাধে চলছে রাস্তা দখল।
ফ্ল্যাট তৈরির যাবতীয় ইঁট, বালি, স্টোন চিপস গলির ভেতর যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে। বাঘাযতীন এলাকার
সরু গলি, কলোনি ল্যান্ড জুড়ে ছড়িয়ে আছে স্তুপাকৃত নির্মাণ সামগ্রী। কোনও বাড়িতে বয়স্ক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার পর্যন্ত উপায় নেই। স্কুল বা অফিস যাওয়ার পথে কখনও শিশু সহ রিকশা উল্টে যাওয়ার পরিস্থিতি। কখনও আবার বালি স্টোন চিপসের ওপর দিয়ে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন গাড়ির চালক।
এই ওয়ার্ড দীর্ঘদিন সিপিএমের দখলে থাকলেও গত বিধানসভা ভোটের আগে সেই কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এই পুরভোটে ওয়ার্ডটি জিতেছেন তৃণমূলের সীমা ঘোষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বহু মানুষ বলছেন, প্রোমোটিং নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে কাউন্সিলর বলছেন, তিনি নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। সব সামলাতে একটু সময় লাগবে।
অথচ কলকাতা পুরসভার। নির্দিষ্ট কিছু আইন আছে…
যেমন,
১)রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখলে সংশ্লিষ্ট বিল্ডার বা প্রোমোটার কে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
২) ১২ ফিট চওড়া রাস্তায় গ্যারাজ ছাড়া ৩ তলার বেশি উঁচু বিল্ডিং করা যাবে না।
৩) নির্মীয়মান ফ্ল্যাটের চারদিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাড় দিতে হবে।
যদিও এর কোনোটাই মানা হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
(কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত অন্যান্য ওয়ার্ডের সমস্যা আপনারা আমাদের জানান। আমাদের ঠিকানা aajkhobor@gmail.com
মেল আইডি বা পরিচয় গোপন রাখা হবে)