আজ খবর ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিএবি-র (CAB) জমি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন সৌরভ।


নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যে বিশ্বমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির যে প্রস্তাব বিসিসিআই দিয়েছে, তার জন্য রাজ্য সরকারকে বিকল্প জমি খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।

সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে বিসিসিআই সভাপতির কী বিষয়ে কথা হল?
সেই প্রসঙ্গে মমতা জানান, আইপিএল (IPL) নিয়ে কোনও কথা হয়নি। সৌরভ জানাতে এসেছিলেন ডুমুরজলার খেলনগরীতে জলাশয় থাকায় সেখানে ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে তিনটি স্টেডিয়ামে এবার আইপিএল হচ্ছে। কলকাতায় আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম বলতে একমাত্র ইডেন ছাড়া আর কিছু নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাস মাঠে এমনিতে খেলা চলতে পারে। তবে সেখানে বা কল্যাণীতে দর্শকদের উপস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনের কোনও পরিকাঠামো নেই।

সে কারণেই কলকাতা বা কলকাতার কাছেই একটি স্টেডিয়াম থাকলে সেখানে খেলা চালানো যেতে পারে। এমনকী ইডেনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলে অন্যত্র বিভিন্ন টুর্নামেন্টের খেলা চালানোও সম্ভব। সে কারণেই ইডেনের মত আরেকটি স্টেডিয়াম তৈরির স্বপ্ন রয়েছে সৌরভ এবং সিএবির।

রাজ্য সরকার আগেই ডুমুরজলায় জমি দিয়েছিল।সেখানেই স্টেডিয়াম তৈরির দিকে সিএবি এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আপাতত সেই পরিকল্পনা থমকে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মুখ্যমন্ত্রী কোথায় সিএবিকে বিকল্প জায়গা দেবেন তা অবশ্য এদিন স্পষ্ট করেননি।

সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার স্টেডিয়ামের জন্য বিকল্প জমির খোঁজ চালাচ্ছে। সৌরভের সঙ্গে তাঁর নিখাদ গল্প হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানালেও বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
সব থেকে বড় ব্যাপার হল , এর আগেও সিএবি প্রেসিডেন্ট হাওড়ার ডুমুরজলার ওই জমিতে ক্রিকেট মাঠ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বলেছিলেন। কিন্তু সেইসময় বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। তাই সিএবি-র পক্ষ থেকে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলা হয়। এদিন অবশ্য সিএবি-র তরফ থেকে সরকারিভাবে এই প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি।

তবে এর আগেও সিএবি-র জমির বিষয়টি নিয়ে সৌরভকে বলা হলেও তিনি তেমনভাবে কিছু বলতে চাননি। এমনকি যে সময় তিনি সিএবি-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেইসময় ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে একটি মাঠ তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল।

ডুমুরজলার ওই মাঠটি হবে ইডেনের পরিবর্ত একটি আন্তর্জাতিকমানের মাঠ।তবে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের কথায় সেই আশা কার্যত আর নেই। কারণ এবারও দ্বিতীয় ইডেন অন্য কোথাও করার পরিকল্পনার কথা ভাবতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *