আজ খবর ডেস্ক- সিবিআই(CBI) চাইলে তাঁকে হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)। এদিন দুপুরেই অনুব্রত’র আইনজীবী সেই চিঠি সিবিআইকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
পর পর ৪বার নানা কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কখনও ভোটের ব্যস্ততা দেখিয়ে, আবার কখনও শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি।
এদিন সকাল থেকে চলল জবর “নাটক”। নিজাম প্যালেসে(Nizam Palace) হাজিরা দিতে বেরিয়ে ও হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে এসএসকেএমে (SSKM) চলে গেলেন অনুব্রত। আপাতত ভর্তি রয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডে।

বুধবার ফের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর । আর এ নিয়ে যথেষ্ট চর্চা ছিল রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবার রাতে অনুব্রত কলকাতায় পৌঁছন । এরই পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হয়েছিল যে এবার হয়তো তিনি সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে পারেন । কিন্তু তা হল না ।
তাঁর গাড়ি দেখা মাত্রই উডবার্নের সামনে সাংবাদিকদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এর আগেও যখন আসানসোলে তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি জানান , “দেখা যাবে”। আবার যেদিন সিবিআই তাঁকে তলব করে সেদিন সকালেই বগটুই তদন্তে সিবিআইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন তিনি ।

সিবিআই সূত্রে খবর , গরু পাচার কাণ্ডে ২০২১ থেকে ২০২২ -এর মার্চ পর্যন্ত চার চার বার অনুব্রত কে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। আর প্রতি বারেই তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গেছেন । যদিও অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, বুধবার সকালে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও হঠাৎ বুকে ব্যথা বোধ করেন তিনি। তৎক্ষণাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
এই মুহূর্তে ৮ চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড(Medical Board) অনুব্রত’র শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

চতুর্থ বার নোটিস পাওয়ার পর গ্রেফতারি এড়াতে অনুব্রত আইনি রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দ্বারস্থ হয়েছিলেন । কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি । এরপর ফের তিনি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে আইনি রক্ষাকবচের আবেদন করেন ।
সেটিও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দেয়। তার পরেই ফের বুধবার তাঁকে তলব করে ফের নোটিস জারি করা হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *