আজ খবর ডেস্ক: অসমে বন্যা (Assam flood) পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। একের পর এক কৃষিজমি, বসতি জলের নীচে চলে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে নয় জন। ভূমি ধসে ঘরছাড়া লাখ লাখ মানুষ।
রাজ্যের ২৭টি জেলায় ক্ষতির মুখে ৬ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষ। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত (nagaon) এবং কাছার (cachar) জেলা। সেখানে বিপাক যথাক্রমে ২.৮৮ লক্ষ এবং ১.১৯ লক্ষ মানুষ। ঘরবাড়ি, কৃষিজমি হারিয়ে বিপর্যস্ত এই দুই জেলার মানুষ। বিভিন্ন জেলার ১৩৫টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৪৮ হাজার মানুষ। ১১৩টি বণ্টন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সেখান থেকে ত্রাণ বণ্টন করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF), স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের ফায়ার ও জরুরি পরিষেবা বিভাগ নিজেদের বাড়িতে আটকে থাকা অন্তত ৩,৪২৭ জনকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে এনেছে।
অন্যদিকে, ডিমা হাসাও জেলার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ধস ও হড়পা বানে বিধ্বস্ত নিউ হাফলং, হাফলং (Haflong)। ধসে বন্ধ জেলার সব ক’টি সড়ক। বাকি রাজ্য থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ডিমা হাসাও।
ধসের জেরে হাফলং এলাকায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কাছাড় জেলায় বন্যা জেরে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, কাছাড় এবং হোজাই জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গুয়াহাটির আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বৃষ্টি এখনই কমার সম্ভাবনা নেই। বরং ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের তরফে দেওয়া হয়েছে। এখনই এইসব অঞ্চলে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং আগামী কয়েকদিন সেখানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে কামপুর ও ধরমতুলে কপিলি নদী, নাংলামুরাঘাটে ডিসাং নদী, এপিঘাটে বরাক নদী এভং করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বাইছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগরতলা গামী এবং আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা সমস্ত ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে৷ এর মধ্যে অধিকাংশ ট্রেনই উত্তরবঙ্গ হয়ে যায়।