আজ খবর ডেস্ক: বাঙালি ২১শে ফেব্রুয়ারির কথা জানে। কিন্তু স্বাধীন ভারতের মাটিতে হওয়া বাংলা ভাষা আন্দোলন দিবস ১৯ শে মে এবং ১ লা নভেম্বরের কথা জানে কি?
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে ঐতিহাসিক শিলচর ভাষা দিবস স্মরণ করলো বাংলা পক্ষ(Bamgla Pokkho)।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বাংলা পক্ষ সংগঠনের জেলা শাখার আয়োজনে ১৯ শে মে বরাক উপত্যকার একাদশ অমর ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হল এদিন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এই শোভাযাত্রায় বাংলা পক্ষের সংগঠকদের সঙ্গে পা মেলান বহরমপুর সহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলের বাংলা ভাষী মানুষ। শোভাযাত্রার পথে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাস্টারদা সূর্য সেন এবং ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
পদযাত্রার শেষে বহরমপুরের কালেক্টরেট ক্লাবের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গর্গ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন বাংলা পক্ষ শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, ডা অরিন্দম বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে উঠে আসে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ আন্দামানের বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা। উঠে আসে মুর্শিদাবাদে বাংলা পক্ষের প্রয়োজনীয়তার কথা। শিক্ষা ক্ষেত্রে হিন্দী আগ্রাসনের বিরোধিতা শোনা যায় বক্তাদের কণ্ঠে।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভারতের প্রত্যেক রাজ্য ভূমিপুত্র সংরক্ষণের মাধ্যমে নিজের জাতির ভবিষ্যত সুরক্ষিত করছে, বাংলা ব্যতিক্রম হতে পারে না। বাংলা পক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় যেমন বাংলা ভাষা দাবি করে তেমনই বাংলার রাজ্য সরকারি চাকরিতেও বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি করে। সার্বিক ভাবে বাংলা পক্ষ বাংলা ভাষাকে কাজের ভাষা করে তুলতে চায়।”
সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি মুর্শিদাবাদের রেশম, বিড়ি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কথা তুলে ধরেন। এত কাজের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলার ছেলেমেয়ে’দের কেন ভিনরাজ্যে যেতে হবে সেই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বাংলা পক্ষ দাবি করে বেসরকারি চারকিতেও ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই।
শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস চিকিৎসা ক্ষেত্রে বহিরাগতদের সংখ্যা বাড়ায় বাঙালির চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যার কথা বলেন। তাঁর কথায় উঠে আসে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বাঙালির বঞ্চনার কথা। আগামীতে এই বিষয়েও বাংলা পক্ষ প্রতিবাদে সরব হবে, এমনটাই বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে হিন্দি ভাষী এক রোগীর পরিবারের হাতে একজন বাঙালি চিকিৎসকের নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেসময় ওই চিকিৎসকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস এবং তাঁদের সংগঠন বাংলা পক্ষ।