আজ খবর ডেস্ক: Last Update

শনিবার দুপুর থেকেই বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। আগামী কাল অর্থাৎ রবিবার, ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হয়ে রাজ্যের (West Bengal) উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা।
সেকারণে রবিবার থেকেই আবহাওয়ার বদল হতে শুরু করবে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর (Alipore Weather Office)।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রবিবারই ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণ হবে। এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সৌজন্য: weather.com

মূলত আন্দামানের (Andaman) ওপর গত ৪ঠা মে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। সেই ঘূর্ণার্তটি আজকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লির (Delhi) মৌসম ভবন(Mausam Bhawan)। ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম(North-West) দিকে এগোবে। রবিবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

সৌজন্য: স্কাইমেট

মৌসম ভবন এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ জানায়, নিম্নচাপটি কার নিকোবরের (নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ) ১৭০ কিলোমিটার পশ্চিম, পোর্ট ব্লেয়ারের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৩০০ কিলোমিটার, বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ-পূর্বে ১,২৭০ কিলোমিটার এবং পুরীর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ১,৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।


শনিবার রাত থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে ১০ তারিখ পর্যন্ত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে। উত্তরবঙ্গে(North Bengal) বৃহস্পতিবার থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা আরও তিন দিন চলবে।

সৌজন্য: আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর

এরপর বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরে। উত্তরবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। শুক্রবার, রবিবার এবং সোমবারও উত্তরবঙ্গের আট জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আজ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি আগেই তৈরি হয়েছিল।
তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে আগেই। দিনের বেলা তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিমাণ ও আগের থেকে একটু কম মালুম হচ্ছে, বলছেন আম-জনতা।

হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এমন কালবৈশাখীহীন চৈত্র-বৈশাখ সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। কলকাতায় আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তবে অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে।
তবে, ঘূর্ণাবর্ত থেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলয় তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা (Odisha) উপকূল এলাকায় প্রবল ক্ষতির সম্ভবনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *