আজ খবর ডেস্ক: সেক্স, কন্ডোম ইত্যাদি সামাজিক ট্যাবু (taboo) নিয়ে ইদানিং বেশ কয়েকটি সিনেমা আমাদের সামনে এসেছে বা আসতে চলেছে।

প্রথমেই যে নামটি মনে আসে, তা হল আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushman Khurana) অভিনীত “ভিকি ডোনার”। ২০১২ সালের স্পার্ম ডোনেশন নিয়ে এই সিনেমাটি বোধহয় আমাদের সামাজিক ট্যাবু ভাঙার প্রথম সোপান।

এর পর আমাদের সামনে আসে, সোনাক্ষি সিনহা (Sonakshi Sinha) অভিনীত, “খানদানি সাফাখানা”। ২০১৯ এর এই ফিল্মে, সামাজিক বিভিন্ন প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে, কিভাবে একজন মেয়ে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ফার্টিলিটি ক্লিনিক চালায়, তা তুলে ধরা হয়েছে।

আরেকটি ফিল্মের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা আগামী দিনে রিলিজ হবে। রাকুল প্রীত সিং (Rakul Preet Singh) অভিনীত “ছত্রিওয়ালি” নামক এই সিনেমায়, রাকুল একজন কন্ডোম পরীক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।

দোকানে গিয়ে কন্ডোম চাইতে আড়ষ্ট বোধ করে অনেকেই। কন্ডোম নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে এখনও যথেষ্ট ট্যাবু এবং আরষ্টতা রয়েছে। আর সেই আরষ্টতা দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন জয় বসন্তু সিং।

১০ই জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে নুসরাত ভরুচ্চা (Nushrratt Bharuccha) অভিনীত “জানহিত মে জারি”।

নুসরাত ভরুচ্চা ছাড়াও ওই ছবিতে অভিনয় করেছেন পাভেল গুলাটি, আন্নু কাপুর, অনুদ সিং ঢাকা এবং পরিতোষ ত্রিপাঠি৷ ছবিটির নির্মাতারা এদিন একটি পোস্টার সহ এর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছেন।

নুশরাত তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন এবং তার ক্যাপশনে লিখেছেন , “আব ইয়ে আন্দর কি বাত নাহি হ্যায়! ইয়ে সুচনা জানহিত আমি জারি হ্যায়।”

পোস্টারে দেখে যাচ্ছে একটি মেয়ের জিন্সের ব্যাকপকেট। সেখান থেকে উঁকি মারছে কন্ডোম। জানহিত মে জারি প্রযোজনা এবং উপস্থাপনা করেছেন বিনোদ ভানুশালী এবং রাজ শাণ্ডিল্য।

ছবিটির মূল বিষয়বস্তু হল মধ্যপ্রদেশের এক মেয়ে শহরে কন্ডোম বিক্রির কাজ করে এবং সে সামাজিক নিষেধাজ্ঞার কারণে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। তার পরিবার এবং প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সেই মেয়েটি।

ট্যাবু দূরে সরিয়ে, এই সিনেমা কতটা দর্শকের মন জয় করতে পারে, এখন সেটাই দেখার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *