আজ খবর ডেস্ক: হিন্দু ও মুসলমানদের আবেগের ভারসাম্য বজায় রেখে, সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার বারাণসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়, জ্ঞানভাপি মসজিদের (Gyanvapi Masjid) “উজু খানা” (wuzukhana) বা অজু পুকুর এলাকাটি সিল করে দিতে।

এই মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দেয়, যেখানে শিবলিঙ্গ (Shivlinga) পাওয়া গিয়েছিল, সেই স্থানটি সিল করে রাখতে হবে। তবে মসজিদে নমাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় আচরণ বন্ধ করা যাবে না।

পি এস নরসিমা এবং ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

এও জানানো হয়েছে, কোনও ভাবেই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশের সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হবে না। গতকাল বিকাল ৫:১০ টা পর্যন্ত বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ ধৈর্য সহকারে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হুজেফা এ আহমাদির বক্তব্য শুনেছেন। অ্যাডভোকেট আহমাদি বারাণসীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদের তরফে সাওয়াল করছিলেন। তিনি বলেন যে “উজু খানা” এলাকাটি বন্ধ করে দেওয়া নামাজকে বাধা দেবে কারণ নামাজের আগে অজু করা অপরিহার্য।

তুষার মেহতা

উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে বেঞ্চ “উজু খানা” এলাকাটি সিল করার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ যেখানে শিবলিঙ্গটি কথিতভাবে পাওয়া গেছে, সেখানে যদি মুসলিমদের অজু করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করতে পারে। মুসলমানরা মসজিদের মধ্যে অন্য কোন এলাকায় অজু করতে পারে।

প্রসঙ্গত, বেঞ্চ অ্যাডভোকেট হরি শঙ্কর জৈনের মাধ্যমে রাখি সিংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ হিন্দু মহিলাকে নোটিশ জারি করেছিল, যারা জ্ঞানভাপি মসজিদের অভ্যন্তরে শ্রিংগার দেবী এবং অন্যান্য দেবতাদের পূজা করার অবাধ অধিকার চেয়ে বারাণসীর সিভিল বিচারকের কাছে গিয়েছিলেন। তাদের দাবী এটি মূল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কিন্তু তৎকালীন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এই মন্দিরটির ক্ষতি করে এবং মসজিদে রূপান্তর করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রায়াল কোর্ট গত ৮ এপ্রিল স্থানীয় পরিদর্শন ও এলাকাটি জরিপের জন্য একজন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল।

যাইহোক, গতকাল বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং নরসিমার বেঞ্চ এই অন্তর্বর্তী রায় দেয়, এবং আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এই মামলার বিশদ শুনানির জন্য বিষয়টি পোস্ট করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *