আজ খবর ডেস্ক: বড়সড় ধাক্কা আমজনতার কাছে। মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আরও একবার মূল্যবৃদ্ধির আঁচ। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের (Cooking Gas Cylinder) (১৪.২ কেজির) দাম ৫০ টাকা বাড়াল তেল বিপণন সংস্থাগুলি।
ফলে দিল্লিতে (Delhi) রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হল ৯৯৯.৫০ টাকা। কলকাতায় হাজার টাকা ছাড়াল দাম।

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী, হরদীপ সিং পুরি


কলকাতায় সিলিন্ডার পিছু দর ১০২৬ টাকা। চলতি মাসের ১ তারিখে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের (১৯ কেজির) দাম ১০২.৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তার দাম ৯.৫০ টাকা কমে কলকাতায় ২৪৪৫ টাকা হয়েছে। যা হোটেল-রেস্তরাঁয় ব্যবহার করা হয়।

এর আগে গত ২২শে মার্চ ৫০ টাকা বেড়ে ৯৭৬ টাকা হয়েছিল এলপিজি (LPG) সিলিন্ডার। এবার দাম হাজার পেরিয়ে গেল। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ভোজ্য তেল থেকে শুরু থেকে শাক-সবজির বেলাগাম দাম বেড়েছে গত কয়েকদিনে। আর নামমাত্র সরকারি ভর্তুকিতে (Government Subsidy) সাশ্রয় সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্তের খরচ আরও বাড়ল।

ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে পথে নেমেছে। বিক্ষোভ দেখিয়েছে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে এদিন, এই প্রসঙ্গে বিজেপি(BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘সারা দুনিয়ায় দাম বাড়ছে। পেট্রোলিয়াম যে কোনও পদার্থ, গ্যাস, তেলের দাম বাড়ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে।
অন্য দেশে অনেক বেশি দাম বেড়েছে। আমাদের সরকার তবু অনেকটা আটকে রেখেছে। তা-ও কিছু কিছু দাম বাড়ছে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে, যার আঁচ পড়ছে এখানেও। আমাদের কিছুটা সহ্য করতে হবে।’’

দিলীপের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
রাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষ কিছু দিন আগে বলেলন, কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোপন্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। আজ বলছেন, সরকার অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। তাহলে অন্য দেশে দাম সর্বনিম্ন থাকার সময় ভারতে পেট্রোলের দাম লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল কেন?

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, কেন্দ্র বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন চলবে। লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আবার পথে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহল বলছে, সবে দু’দিনের রাজ্য সফর শেষ করে দিল্লি ফিরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
তারপরেই শনিবার সকালে এই ধাক্কা এল মধ্যবিত্তের হেঁশেলে।
শুধুমাত্র রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতির দিয়ে আর আমজনতার মন ভেজাতে পারবে কি বঙ্গ বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *