আজ খবর ডেস্ক: শেষ সাক্ষাৎ রাজ্য বিধানসভায়। তাও মুখোমুখি নয়, দুর থেকে।
রাজনৈতিক মহল বলে থাকে, সেই ২০২০ সালের মাঝ পর্ব থেকে আর মুখোমুখি হন নি তাঁরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ফের মুখোমুখি বসবেন? আপাতত এই জল্পনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।


সোমবার নবান্নে বসতে চলেছে লোকায়ুক্ত নিয়োগের বৈঠক। এছাড়া একই দিনে তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের (Human Rights Commission) চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে বৈঠক হবে। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জিও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা এবং বিধানসভার স্পিকার রাজ্য স্তরে সাংবিধানিক পদে লোকায়ুক্তদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই প্রথা মেনেই শুভেন্দু অধিকারিকে চিঠি পাঠানো হয় এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ।
যদিও শুভেন্দু বা মমতা, দুজনের কেউই এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত স্পষ্ট করেননি মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন কিনা!

বরং এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্য প্রশাসন’কে দুটি শর্ত দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
হাবেভাবে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়েছেন, তাঁর দেওয়া শর্ত না মানা হলে বৈঠকে থাকবেন না তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন,
১) রাজ্যের তরফে যে চিঠিটি শুভেন্দু’র কাছে এসেছে তাতে লেখা হয়েছে, রাজ্যপালের (Governor) সুপারিশে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বয়ান না শোধরালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

২) কয়েক মাস আগেই এই নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈঠক হয় বিধানসভায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু। বৈঠকে যে প্রস্তাব উঠেছিল তাতে সবুজ সংকেত দেননি রাজ্যপাল। ফলে শেষ হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া।
অসম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতেই নতুন করে এই বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার। এখানেও নতুন দাবি করেছেন শুভেন্দু।
তাঁর দাবি, যতক্ষণ না আগের বৈঠকটি “অবৈধ” বলে ঘোষণা করা হচ্ছে ততক্ষণ নতুন বৈঠকের কোনও বৈধতা নেই। যদি আগের বৈঠক ‘অবৈধ’ হিসাবে ঘোষণা করা হয় তবেই তিনি যোগ দেবেন নতুন বৈঠকে।

দিল্লিতে ইদানীং এই ধরনের বৈঠকগুলো হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের অফিসে। রাজ্যের ক্ষেত্রে এই প্রথম বার বিধানসভা চত্বরের বাইরে বেরিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এই বৈঠক বসতে চলেছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে তাঁর দফতরে বৈঠকটি ডাকতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধে সম্মান জানিয়েই নবান্নে এই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।”
বিধানসভা থেকে এখন অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ডেড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
একদিকে যখন এই বিষয়টি উল্লেখ করে শাসকদলের দাবি বিরোধী দল নেতার প্রতি সৌজন্যে দেখিয়েই বিধানসভার বদলে নবান্নের বৈঠক ডাকা হয়েছে। যাতে শুভেন্দু থাকতে পারেন। পাল্টা শুভেন্দু শিবিরের বক্তব্য, এই বৈঠকের এজেন্ডা সফল করতে সংবিধান মেনেই বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি প্রয়োজন।
সব বিষয় দেখে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বল এখন শুভেন্দুর কোটে। তিনি কী করেন সেটাই দেখার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *