আজ খবর ডেস্ক: চিজ দিয়ে মুচমুচে ব্রেড টোস্ট হোক অথবা নামী দোকানের চিকেন ফ্রাই। বিরিয়ানি অথবা মাটন লাজানিয়া (lasagna)!
খাবার নিয়ে মানুষ এখন বেশ সচেতন। কিছু খেলেই মনে হয় এই বুঝি ওজন বেড়ে গেল! অনেকে তো আবার রীতিমত ক্যালোরি মেপে মেপে খাবার খান। কিন্তু রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে সেই ভাবে নিক্তি মেপে কি আর খাওয়া সম্ভব?
আবার অনেক সময়েই মেনুকার্ড দেখে বোঝার উপায় থাকে না, কোন খাবারে ঠিক কতটা ক্যালোরি (Calorie) আছে।
সেই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (FSSAI)।


এবার থেকে দেশের সমস্ত পাঁচতারা হোটেল এবং বড় রেস্তরাঁ গোষ্ঠীকে মেনুর প্রতিটি খাবারের ক্যালোরি, পুষ্টি ও পরিমাণ গ্রাহককে জানাতে হবে! এমনই নির্দেশ দিল খাদ্যবস্তুর গুণগত মান নজরদারির শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁর আদর্শ মেনুকার্ডের নমুনাও পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে , এই নির্দেশ কেন্দ্রীয় লাইসেন্সের অধীনে থাকা সমস্ত রেস্তোরাঁকে মেনে চলতে হবে। এমনকি বিমানবন্দর (Airport), রেল (Rail) ও সরকারি ক্যান্টিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। অনলাইন (Online) খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকেও এই নিয়ম মেনেই চলতে হবে।
মেনুকার্ডে উল্লেখ করা থাকবে কোন খাবারে কতটা পরিমাণ ক্যালোরি আছে। এছাড়া কোনও খাবারের কারণে অ্যালার্জি (Allergy) হওয়ার সম্ভাবনাযুক্ত কিছু বস্তু আছে কিনা তাও উল্লেখ করতে হবে।

তবে একটা কথা প্রথমেই বলে রাখা জরুরি, কেন্দ্রীয় সংস্থার এই নির্দেশ কিন্তু নতুন নয়। বরং ১লা জানুয়ারি, ২০২২ থেকে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) গোটা দেশজুড়ে এই নির্দেশ চালু করার কথা বলেছিল। সংস্থার তরফে এও বলা হয়েছিল, খাদ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানে “তথ্য প্রদর্শন” (Menu Labelling) ও ফুড বিজনেস অপারেটরদের (FBO’s) এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে হবে।
এই নির্দেশিকাটি ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস (প্যাকেজিং এবং লেবেলিং) রেগুলেশন, ২০১১ সালের নবম সংশোধনীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যা ২১শে আগস্ট, ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল৷ লক্ষ্য ছিল, ভোক্তাদের খাবার সম্পর্কে সমস্ত পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা৷

FSSAI এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছে যে ভারতীয় রেস্তোরাঁয় মেনু লেবেল একটি অপেক্ষাকৃত নতুন অভ্যাস। তদুপরি, হোটেল এবং রেস্তোরাঁ শিল্প এখনও মহামারীর প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করছে। নতুন সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নিতে এবং গ্রহণ করতে FBO-এর সময় লাগবে।

এই নির্দেশ মোতাবেক ১০বা তার বেশি স্থানে কেন্দ্রীয় লাইসেন্স বা আউটলেট সহ খাদ্য পরিষেবা সুবিধাগুলির (রেস্তোরাঁ, QSR, ক্যাফে) মেনু কার্ড, বুকলেট বা বোর্ডগুলিতে বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। যেমন, প্রতিটি মেনুর “ইউনিট প্রতি পরিবেশন” এবং পরিবেশন আকারে kcal-এর ক্যালোরিফিক মান” অবশ্যই গ্রাহকদের জানাতে হবে। ই-কমার্স ফুড ব্যবসার মালিকদের এবং তাদের রেস্তোরাঁর অংশীদারদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ক্যালোরি তথ্য প্রকাশ করতে হবে।


আমিষ, নিরামিষ খাবারের ভেদ বোঝাতে খাবারের পাশে নির্দিষ্ট চিহ্ন রাখতে হবে । এক্ষেত্রে সবুজ চিহ্ন নিরামিষ খাবারের ক্ষেত্রে ও লাল আমিষ খাবারের ক্ষেত্রে।
পাশাপাশি যদি গ্রাহক খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদির পরিমাণ জানতে চান তাহলে তাঁদের অবশ্যই তা জানাতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *