আজ খবর ডেস্ক: রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ পোখরা (Pokhara) থেকে জমসম যাওয়ার পথে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত একটি বিমান ২২ জন যাত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।


নিখোঁজ হওয়ার আগে শেষবার বিমানটিকে দেখা গিয়েছিল নেপালের মুস্তাং-এর জমসমের আকাশে। তবে সেখানে অবতরণ করার আগেই বিমানটি ধবলগিরি পাহাড়ের দিকে ঘুরে যায়।

তার পর আর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাতে ৩ কেবিন ক্রু ছাড়াও ৪ ভারতীয় যাত্রীও ছিলেন। তাঁরা হলেন, অশোক কুমার ত্রিপাঠী, ধনুষ ত্রিপাঠী, ঋত্বিকা ত্রিপাঠী এবং ভৈবই ত্রিপাঠী।


বাকিরা নেপালের বাসিন্দা। ওই ভারতীয়রা সম্ভবত নেপালের মুক্তিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই চার ভারতীয় মুম্বইয়ের একই পরিবারের সদস্য। এদিকে, বিহারের এক পরিবারের দাবি, তাঁদের ৭ জন সদস্য ছিলেন ওই বিমানে।

ইতিমধ্যেই ১৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দেহের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ৬০ জনের উদ্ধারকারী দল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভারত তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে সাহায্যের বার্তা দেয় নেপালকে।


পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও সেনা উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো হয়। মন্ত্রকের মুখপাত্র ফণীন্দ্র মণি পোখরেল জানান, দু’টি হেলিকপ্টার মুসতাং ও পোখরা থেকে পাঠানো হয়েছে নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে। নেপাল সেনার চপারও বিমানটির খোঁজে অভিযান শুরু করে। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেখানে পৌঁছতে পারেনি উদ্ধারকারী বিমানগুলি।

৩০শে মে অর্থাৎ সোমবার সকালে, সেনাবাহিনীর দুই উদ্ধারকারী কপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের প্রথম ছবি শেয়ার করে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, যে কয়েকটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে তা চেনার বাইরে। নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল বলেন, তাঁরা মুস্তাং জেলায় বিমান দুর্ঘটনাস্থলটি সনাক্ত করেছেন। টার্বোপ্রপ টুইন অটার 9N- AET বিমানটিতে ৩ সদস্যের নেপালি ক্রু ছাড়াও ৪জন ভারতীয় নাগরিক, ২জন জার্মান এবং ১৩ জন নেপালি যাত্রী ছিলেন।

নেপাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে কাকতালীয়ভাবে, পোখরা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি বিমান ঠিক এভাবেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।
তারিখ ছিল ১৪ই মে, ২০১২। জমসম বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ১৫ জন নিহত হন।
একই মাসে একই রুটে, মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানের ঘটনাটি ঘটেছিল।


বিমানটি পোখরা বিমানবন্দর থেকে জমসম বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। বিমানটিতে ১৮ জন যাত্রী, ২ পাইলট এবং ১জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন।
পুরনো তথ্য অনুসারে, অগ্নি ফ্লাইটটি জমসমে অবতরণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে পরিকল্পনা বাতিল করে। পরবর্তী ভ্রমণের সময়, বিমানের একটি ডানা পাহাড়ে আঘাত করে, যার ফলে বিমানটির একাংশ চলন্ত অবস্থায় ভেঙে পড়ে।
এতে ২১ জনের মধ্যে ১৫ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *