আজ খবর ডেস্ক: নারীর স্বাধীনতা দমনের ক্ষেত্রে আবার এক কঠোর পদক্ষেপ নিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। কাবুল এবং অন্যান্য প্রদেশে মহিলাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান সরকার।

মহিলাদের জন্য স্কুল বন্ধ করার পর, সরকার এখন আফগানিস্তানের মহিলাদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ করেছে। তালিবান দখলের আগেও, কাবুল, হেরাত সহ আফগানিস্তানের বেশ কিছু বড় শহরে নারীদের গাড়ি চালাতে দেখা যেত।

উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরের আগস্টে আফগান সরকারের পতন এবং তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন আরও বেড়ে গেছে। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর, রপ্তানি হারানো, দাম বেড়ে যাওয়া, সাহায্যের ঘাটতি, তেলের সংকট, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সৃষ্ট নগদ অর্থের ঘাটতি জনসংখ্যার অনেকাংশকে খাদ্য ও জলের অ্যাক্সেস থেকে বঞ্চিত করেছে।

তালিবান সরকার ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা থেকে মেয়েদের নিষিদ্ধ করেছে, এবং ধর্মীয় অধ্যয়নে আরও মনোযোগ দেওয়ার জন্য পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করেছে। ‘নারীবিরোধী’ এই উগ্রবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই সোচ্চার হয়ে আসছে আফগান মহিলারা।

২০২১ সালে, অধিগ্রহণের মাত্র এক মাস পরে, তালিবান ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের জন্য কিছু স্কুল পুনরায় খোলার অনুমতি দিয়েছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই ঘটনার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ বলেছিল, “নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সকল আফগানের শিক্ষার অধিকারকে পুনঃনিশ্চিত করেছে এবং তালিবান সরকারকে শিক্ষার অধিকারকে সম্মান করার এবং অনতিবিলম্বে সমস্ত মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।”

তালিবান শিক্ষা মন্ত্রক (MoE) বলেছে যে ইসলামিক এমিরেট মেয়েদের জন্য স্কুল পুনরায় খোলার জন্য সমাধানসূত্রের কাছাকাছি।

ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক মাস পরে, তালিবান প্রশাসন নারীদের কার্যকরভাবে সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, মিডিয়া কোম্পানি এবং অন্যান্য কাজের জায়গায় কাজ করতে নিষেধ করে। প্রবীণ তালিবান নেতা, ওয়াহেদুল্লাহ হাশিমি বলেছেন, আফানিস্তানে সম্পূর্ণরূপে শরিয়াত আইন প্রয়োগ হবে, যেখানে মহিলারা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন যে, কোন ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয় সঙ্গে না থাকলে, আফগান মহিলারা কোন পরিবহন ব্যবহার করতে না পারার প্রস্তাবও দেওয়া হবে। এছাড়াও, শুধুমাত্র হিজাব পরা মহিলাদেরই যে কোন গাড়িতে তুলতে নির্দেশ দিতে পারে তালিবান সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *