আজ খবর ডেস্ক: দলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল নেত্রীর পাশে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এসএসসি (SSC) দুর্নীতি তদন্তে এদিন আবারও সিবিআইয়ের (CBI) মুখোমুখি হয়েছিলেন পার্থ। নিজাম প্যালেসে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা জেরা চলে।


এদিকে সিবিআই যাতে তাঁকে আর ডাকাডাকি না করে তার জন্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) পৃথক ভাবে মামলা করেছিলেন রাজ্যের এই প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যে মামলা রুজু করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় তা আগেই খারিজ হয়ে গেছিল।

গত বুধবার বিকেলেই এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রথমবার নিজাম প্যালেসে যান পার্থবাবু। সপ্তাহ পেরিয়ে এদিন অর্থাৎ আরেক বুধবার দ্বিতীয়বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়ে গেল পার্থ’র আবেদন।
ইতিমধ্যে দু’দফায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। আর এদিন ছিল একটানা ৮ঘণ্টার লম্বা জেরা পর্ব। সন্ধের পরে নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) থেকে বেরোন পার্থ।
সিবিআই সূত্রের খবর, প্রয়োজনে আবার ও ডাকা হতে পারে তাঁকে।

এদিন সকাল ১০টা ৪৫ নাগাদ সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নিজাম প্যালেসে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বেলা ১১টায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন দ্বিতীয়বার এসএসসি মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন তিনি।
গত বুধবার আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল পার্থ’কে। হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসি-র নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
বুধবার নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সোজা গাড়িতে উঠে যান তিনি।


প্রসঙ্গত সংবাদমাধ্যমে কিছু না বললেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত খবর, তাঁর ব্যক্তিগত এই দুর্দিনে দলের কিছু নেতার আচরণ মানতে পারছেন না তিনি। যে কারণেই রবিবার বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় যে প্রতিবাদ মিছিল করার কথা ছিল ফেসবুকে (Facebook) তা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ।

এদিন সুপ্রিমকোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে আর ও খানিকটা ভেঙে পড়েছেন এই হেভিওয়েট নেতা।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা বলে আগেই একবার পার্থ’র পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল।
এদিন শীর্ষ আদালত ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা বলেছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, নতুন করে পিটিশন দাখিল করলে পার্থর আর্জি শোনা হবে।


রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, খাতায়-কলমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের “মহাসচিব” এবং রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। দলের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়ার পরেও বারবার কেন বিভিন্ন আদালতে তাঁর পিটিশন খারিজ হচ্ছে?
একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলগতভাবে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন সিবিআই মামলা আসলে রাজনৈতিকভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের তরফে।


অথচ, পার্থর পাশে সেভাবে কাউকে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না।
অতীতে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কেসের (Case) ক্ষেত্রে কখনও কপিল সিবাল (Kapil Sibal), কখনও আবার অভিষেক মনু সিংভি (Abhishek Manu Singhvi) মামলা করেছেন তৃণমূল নেতাদের হয়ে। অথচ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কেন তাঁদের মত সিনিয়র আইনজীবীদের ডাকা হচ্ছে না, তা নিয়েও জল্পনা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *