আজ খবর ডেস্ক: জৈষ্ঠ্যের গরম ছাপিয়ে আগুন জ্বলছে বাজারে। একে তো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের (Cooking Gas) দাম।


অন্যদিকে পেট্রল, ডিজেলের সঙ্গে সঙ্গে রান্নার গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে । সম্প্রতি একদিনে ২৬ টাকা দাম বেড়েছিল ১৪.৫ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের। অতএব এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য এখন হাজার টাকারও বেশি ।
আগেই দাম বেড়েছিল ভোজ্য তেলের (Cooking Oil)।
এবার গরম বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে শাক, সবজি, মাছ, মাংসের দাম।


এক সময় থালা বাজিয়ে, প্রতীকী বেগুন, কুমড়ো, পটল নিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মিছিলের মূল স্লোগান ছিল, “এত দাম, খাব কী”? আমজনতা বলছে এবার সময় এসেছে, সাধারণ মানুষকে পথে নামতে হবে। কারণ, পেট চালানোই দায়!

হেঁসেলে যেন আগুণ লেগেছে! গরমের সময় এমনিতেই শাক সবজির দাম বাড়ে। এবছর ও তার ব্যতিক্রম হয় নি।
এই মুহূর্তে যেমন কলকাতার খুচরো বাজারে
এই মুহূর্তে
*মুরগির মাংসের কেজি প্রতি দর ২৬৫ থেকে ২৭৫টাকা
*পাঁঠার মাংসের কেজি প্রতি দর কমবেশি ৮০০ টাকা
*রুই মাছ কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।(গোটা)
*কাতলা কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা (গোটা)
*পমফ্রেট কেজি ৮০০ থেকে ৮৭৫ টাকা
*গলদা চিংড়ি কেজি ৪৫০ থেকে ৪৯০ টাকা
*মাঝারি সাইজের মৌরলা মাছের কেজি বিকোচ্ছে ২৩০ টাকায়।

সাধারণত অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে বাংলায় চালানি রুই-কাতলা আসে। এদিকে অন্ধ্র সরকার সাধারণত প্রত্যেক বছর এপ্রিল-জুন পর্যন্ত প্রজননের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখে। জানা গিয়েছে, এখনও তা বলবৎ রয়েছে।
হিমঘরে যা মাছ এসেছিল সেই মজুত শেষের দিকে। এই অবস্থায় রাজ্যের মাছের আড়তদার অথবা বাজারে মাছ বিক্রেতাদের বক্তব্য, সবজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী ।

এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ ভাবেন, আমিষ ছেড়ে নিরামিষাশী হবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু খরচ আরও বাড়বে।
কলকাতার খুচরো বাজারে যেমন এই মুহূর্তে বিভিন্ন শাক সবজি কী দামে বিক্রি হচ্ছে এক ঝলকে জেনে নেওয়া যাক।
*পেঁয়াজ কিলো প্রতি কমবেশি ৩০ টাকা
*জ্যোতি আলু কিলো প্রতি কমবেশি ৩৫ টাকা
*পটল কিলো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা
*টমেটো কিলো প্রতি ৭০টাকা
*বেগুন কিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা
*সজনে ডাঁটা কিলো ৭০ টাকা
*পাতি লেবুর কিলো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা

প্রত্যাশামতই এহেন বাজারদর দেখে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। যেমন সিপিএমের (CPIM) আক্রমণের জোড়া লক্ষ্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) ও কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি (BJP)।
বাজারে জিনিসের অগ্নিমূল্যও নিয়ে এদিনই সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বিঁধেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।


অন্যদিকে তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরকে দায়ী করছে এই পরিস্থিতির জন্য। মাঝখানে দিন চালাতে হাঁপ ধরছে রাজ্যবাসীর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *