আজ খবর ডেস্ক: বড় পর্দায় পা বাড়ানোর আগে “প্রাক্টিস ম্যাচ” ছোট পর্দায়। সচরাচর এমনটাই ভাবেন অনেকে।
অভিনয় শেখা, অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি গ্ল্যামার দুনিয়ায় পরিচিতি তৈরি হয়। পরিচিতি তৈরি হয় আমজনতার কাছে। সেই সুযোগে মেলে খ্যাতি, অন্য কাজের অফার।
সেখানেই এবার যেন রাহু’র কোপ। একের পর এক টেলি তারকার আত্মহত্যা উস্কে দিচ্ছে সেই এক প্রশ্ন, “কেন এমন হচ্ছে”?

পল্লবী’র (Pallabi Dey) ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। তারমধ্যেই উপর্যুপরি ২ আত্মহত্যা (Suicide)!


চলতি সপ্তাহের বুধবার দমদম (Dumdum) নাগের বাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল একুশ বছরের মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ।


এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে পাটুলির (Patuli) বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরএক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ।
পরিবার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে বান্ধবীর মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগছিলেন মঞ্জুষা। মাস ছ’য়েক আগেই এক পেশাদার চিত্রগ্রাহককে বিয়ে করেছিলেন। ফেসবুকে তাঁর ‘সিঙ্গল স্ট্যাটাস’ বদলে ‘বিবাহিত’(Married) করেছিলেন। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, স্বামী খুবই ভালবাসতেন মঞ্জুষাকে। তবে সম্ভবত তাঁর সঙ্গে ইদানীং বনিবনা হচ্ছিল না মঞ্জুষার।

ডাঃ রুদ্র আচার্য

একের পর এক টেলি তারকার আকস্মিক মৃত্যু নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কলকাতার বিশিষ্ট মনো-চিকিৎসক (Psychiatrist), ডাঃ রুদ্র আচার্য aajkhobor.com কে বললেন, ” চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে “suicide contagion”। মানসিক অবসাদ যখন পাশের মানুষটিকে কাবু করে তখন আমাদের মনে হয়, এমন সমস্যায় আমিও ভুগছি। বিশেষত একই পেশায় থাকা অথবা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে একই ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই চোখে পড়ে। হতাশার কারণ গুলো প্রায় একই রকম। অনিশ্চিত জীবন, অর্থনৈতিক সমস্যা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, সর্বোপরি কাজের চাপ। পরিচিত মানুষ যখন এই চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করে, তখন নিজের আত্মবিশ্বাস ও কমতে থাকে।”

পায়েল মুখার্জি

অভিনেত্রী পায়েল মুখার্জি aajkhobor.com কে জানালেন, ” কোভিডের পর থেকে এন্টারটেনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিমাণ কমেছে। বিনিয়োগ ও অনেকটাই কমেছে। ফলে অভিনেতাদের নিজেদের মধ্যেই একদিকে যেমন প্রতিযোগিতা বেড়েছে অন্যদিকে একটা কাজ পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক রকম কম্প্রোমাইজ করছেন।
আবার জনপ্রিয়তার ফলে গ্লামার ইন্ডাস্ট্রির শর্ত অনুযায়ী নিজেকে “শো অফ” করতে হয়।


আর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও মেকআপ, পোশাক ঠাঁটবাট বজায় রাখতে হয়। নানান চাপ থেকে হতাশা আসে আর সেই হতাশা কাটানোর জন্য অনেকেই আজকাল নিয়মিত মাদক নিচ্ছেন। ফলে মুহূর্তের জন্য মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে।”

জানা গিয়েছে, বিবাহিত মঞ্জুষা চার পাঁচ দিন আগেই
বাবা-মায়ের কাছে আসেন। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, “বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারাদিন বিদিশার কথাই বলছিল। বারবার বলছিল যে আমিও বিদিশার মত করব।’
এ ছাড়াও জানা গিয়েছে , সাংসারিক সমস্যায় বিপর্যস্ত
ছিলেন মঞ্জুষা।
পরপর এহেন ঘটনায় বিচলিত বাংলার টেলি দুনিয়া।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *