আজ খবর ডেস্ক: দীর্ঘ সময় ধরেই বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছিল শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। সেই সময় থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, এবার প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? তখনই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা হয়, রনিল বিক্রমাসিংঘে (Ranil Wickremesinghe) ছাড়া সম্ভবত আর কোনও ‘অপশন’ নেই।

তিনি চারবার দেশের মসনদে বসেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই ধারণাই সত্যি হল। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। এই সংকটের সময়ে কাঁধে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) তাঁকে শপথবাক্য পড়িয়েছেন।প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে শপথের পর কলম্বোর ওয়ালুকরমা মন্দিরে আশির্বাদ নিতে যান রনিল বিক্রমাসিংহে। শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা রনিল এর আগেও পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

লঙ্কানদের আশা, নতুন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠবে শ্রীলঙ্কা। দেশটির সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেও একই আশা করছেন। নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে জানানো শুভেচ্ছা বার্তায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অন্যদিকে , শ্রীলঙ্কার নয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশে ভারতীয় অর্থনৈতিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে জানান, ” আমি একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চাই এবং আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বৃহস্পতিবার বলেছে যে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসারে গঠিত নতুন শ্রীলঙ্কার সরকারের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ এবং দ্বীপরাষ্ট্রের জনগণের প্রতি নয়াদিল্লির প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে।

ভারত এই বছরের জানুয়ারি থেকে ঋণ, ক্রেডিট লাইন এবং ক্রেডিট অদলবদলের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার কাছে $৩ বিলিয়নেরও বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।কলম্বোতে ভারতের হাইকমিশন বলেছে যে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসারে গঠিত শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *