আজ খবর ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ(SSC) দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। তদন্তের জন্য আদালতের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্পত্তির হিসাব চাওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে হলফনামা পেশ করতে হবে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রীকে।
এরপরেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।
১) কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসেব চাইল আদালত?
২) বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে কি সিবিআই (CBI)?
শুক্রবার সকালেই সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল(ADG) অজয় ভাটনাগর দিল্লী থেকে আচমকা হাজির হলেন কলকাতার নিজাম প্যালেসে।
এদিকে, স্কুল সার্ভিসের (SSC) গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ইতিমধ্যেই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একবার জেরা করেছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হল সেই প্রসঙ্গে আইনজীবীরা বলছেন, যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ও করা হয়েছে।
সম্ভবত সেই কারণেই আদালত দেখতে চাইছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হিসেব বহির্ভূত আয় বা সম্পত্তি রয়েছে কিনা। গত কয়েক আর্থিক বছরের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে আয়কর রিটার্ন(Incone Tax Return) পেশ করেছেন তার সঙ্গে তাঁর সম্পত্তির হিসাবের সঙ্গতি রয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখবেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
এমনকি এমনও চর্চা হচ্ছে, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, স্কুল সার্ভিসের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কমিটির বাকি সদস্যের কাছ থেকে ও সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামা আগামী দিনে চাইতে পারে সিবিআই বা আদালত।
অন্যদিকে এদিন সকালে আদালতে তরফের নির্দেশ আসে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলের চাকরি বাতিল করা হল।
একই সঙ্গে২০২০ থেকে এই চাকরীর পারিশ্রমিক হিসেবে অঙ্কিতার যাবতীয় বেতন ফেরাতের ও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুই কিস্তিতে এই টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতা অধিকারীকে। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে এই টাকা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর স্থান। এবং এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর স্থান। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে বলেছিলেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক আসলে অনেকটা। তা ছাড়া ববিতা পারসোনালিটি টেস্ট দিয়ে ৮ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা পারসোনালিটি টেস্টেই বসেননি। এর থেকে সাফ বোঝা যাচ্ছে যে অঙ্কিতাকে মেধা তালিকায় বিশেষ ক্ষমতা খাটিয়ে ঢোকানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার প্রায় টানা ৩ ঘণ্টা জেরার পর, SSC মামলায় শুক্রবার সকালে ফের তলব করা হয় মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে।