আজ খবর ডেস্ক: করোনা আগেই ছিল, যা এখনও পুরোপুরি কতে নি। এবার এসেছে “টমেটো ফ্লু” (Tomato Flu)। করোনার (Corona) ভ্রূকুটি গোটা বিশ্ব জুড়ে পুরোপুরি কাটার আগেই নতুন আরেক ভাইরাস (Virus) এল ভারতে।

সম্প্রতি কেরালায় (Kerala) “টমেটো ফ্লু” নামে একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। কোল্লামে রোগটি প্রথম দেখা দেয়। এরপর ধীরে ধীরে তা অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। তবে কীভাবে এই রোগ ছড়াচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কেরালার পাশাপাশি তামিলনাড়ু (Tamilnadu), অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে তদারকি শুরু হয়েছে।
নতুন করে যাতে সংক্রমণ (Infection) না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেরালায় ” টমেটো ফ্লু ” শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তামিলনাড়ু তার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে। তামিলনাড়ু-কেরালা সীমান্তে স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের একটি দল প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আসা মানুষের স্ক্রীনিং (Screening) করছে।

কোয়েম্বাটুরের স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর, ডাঃ পি অরুণা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, “স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং পুলিশের সমন্বয়ে একাধিক টিম (Team) বিভিন্ন শিফটে (Shift) দিনভর কাজ করছেন। কারো জ্বর ও ফুসকুড়ি থাকলে তাঁরা সেই বাচ্চাদের বিষয়ে নোট করে রাখছেন।”
এই ফ্লু’র উপসর্গগুলি হল ফুসকুড়ি (Rash), ত্বকের জ্বালা এবং জলশূন্যতা (Dehydration)। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে, এই রোগের কারণে ক্লান্তি, গাঁটে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, কাশি, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা আচমকা বেড়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এটি পা এবং হাতের রঙও পরিবর্তন করতে পারে। ডাঃ অরুণা উল্লেখ করেছেন, “এই ফ্লুয়ের চিকিৎসার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই”।

তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী করবেন?
শিশুর মধ্যে উপরোক্ত উপসর্গগুলোর কোনোটি দেখা দিলে দেরি করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন।আক্রান্ত শিশুদের উষ্ণ গরম জল পান করতে হবে। উষ্ণ গরম জল দিয়ে স্নান করাতে হবে।


প্রবল জ্বরের সঙ্গে সারা গায়ে লাল লাল ফোস্কা পড়ার কারণে এই অসুখটিকে “টমেটো ফ্লু” বলা হচ্ছে। চিকিৎসকরা সাবধান করছেন, লালচে এই ফোস্কা অনেকটা ছোট টমেটোর মত দেখতে। কিন্তু ছোটদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাবা-মাদের ও সতর্ক থাকতে হবে যাতে এই ফোস্কা চুলকিয়ে ফাটিয়ে না দেওয়া হয়। কারণ তা থেকে ইনফেকশন আরও বাড়তে পারে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের সাবধান বাণী, এই রোগ দ্রুত সংক্রমিত হয়। ফলে বাড়িতে একাধিক শিশু থাকলে, টমেটো ফ্লু’তে আক্রান্ত শিশুকে আলাদা, বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *