আজ খবর ডেস্ক: কিছুতেই যেন থামছে না রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ। ইউক্রেন (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Zelensky) লুক্সেমবার্গে (Luxembourg) গতকাল বলেছেন, ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার হাতে।

শুক্রবার রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই রুশ বাহিনী ডনবাসের উপর তাদের দখল শক্ত করছে।

অন্যদিকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের প্রায় পুরো রাশিয়ান (Russia) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করতে হবে। রাশিয়ার সব বাহিনী মিলে এই আগ্রাসন চালাচ্ছে। মস্কো বাহিনীর সামনের সারি এক হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে।’

কিয়েভের (Kyiv) চারপাশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর, রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সৈন্যরা পূর্ব ইউক্রেন দখল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।

মস্কো সৈন্যরা পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনে বড় সাফল্য পেতে চলেছে, কারণ তারা ইউক্রেনের শিল্প শহর সিভিয়েরোডোনেটস্কের (Sievierodonetsk) ৭০ শতাংশে নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে।

রাশিয়া ইতিমধ্যে কৌশলগত শিল্প শহরটির প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেছে তবে রক্ষকরা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। লুগানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সের্গি গেইডে ইউক্রেনীয় বাহিনী “শেষ পর্যন্ত” লড়াই করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের আরেকটি প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) পর্যন্ত পরিসরের উন্নত রকেট সিস্টেম থাকবে।

অস্ত্র সহায়তার মধ্যে আরও রয়েছে হেলিকপ্টার, জ্যাভলিন ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, কৌশলগত (ট্যাকটিক্যাল) যান, অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য অস্ত্র।

লুহানস্ক দখল করা পুতিনের ঘোষিত উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি। এর ফলে যুদ্ধ রাশিয়ার পক্ষে আরও হয়ে উঠবে।

তবে, মার্কিন বিদেশমন্ত্রী, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Anthony Blinken) বলেছেন, ইউক্রেন আশ্বস্ত করেছে যে তারা রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য সিস্টেমগুলি ব্যবহার করবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও (Joe Biden) একাধিকবার একই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে মার্কিন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিষয় থেকে বঞ্চিত করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা করে। বেশ কয়েকটি বিমান কারখানা, জাহাজ নির্মাণ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সহ ৭১টি রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান সংস্থাকে আমেরিকা তাদের বাণিজ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।

২৪শে ফেব্রুয়ারী লড়াই চালু হাওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জেলেনস্কির মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিদিন ১০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *