আজ খবর ডেস্ক:
আমজনতা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। ক্রমশই বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৫০৬ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা নেমে গিয়েছিল ১২ হাজারের নিচে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশের সক্রিয় রোগী বেড়ে হয়েছে ৯৯ হাজার ৬০২। গোটা দেশে সক্রিয় কেসের হার ০.২৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৭।

সংক্রমণের নিরিখে সবার প্রথমে রয়েছে কেরালা। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৪ হাজার ৪৫৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু।

গোটা দেশে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৮ হাজার ৬৬৬ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ১১ হাজার ৫৭৪ জন সেরে উঠেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৫৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৪ জন। মঙ্গলবার এই সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫৫১ জন। রাজ্যে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৭৭ জন। রাজ্যের সুস্থতার হার ৯৮.৭২ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের সংখ্যা শূন্য। রাজ্যে মৃত্যুর হার ১.০৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৭ কোটি ৪৬ লক্ষেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ। এদিকে ৭ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হল সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভোভ্যাক্স’কে। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্র কোভিড সতর্কতার উপর জোর দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কোভিড সংক্রমণের রিপোর্ট জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, রাজেশ ভূষণ সেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, বর্তমান বৃদ্ধির প্রতিবেদনকারী অনেক রাজ্যে দ্বিতীয় এবং সতর্কতামূলক ডোজ গ্রহণের পরিমাণ কম ছিল, বিশেষ করে ৬০ এর বেশি বয়স্ক জনসংখ্যার এবং ১২-১৭ জনসংখ্যা গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার কভারেজ দ্রুততর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিকে সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য কোভিড যথাযথ আচরণের বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *