আজ খবর ডেস্ক: রাজ্যের ৬টি পুর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয় গত রবিবার। এদিন গণনার ফল বেরোতে দেখা গেল চমক! ৬টি আসনে শূন্য রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। এমনকি, এই ৬ আসনের একটিতেও দ্বিতীয় স্থান পায়নি তারা।
কার্যত, উপনির্বাচনে চমকপ্রদ ফল দেখাল বাম শিবির। চন্দননগর পুরনিগমে তৃণমূলের (AITC) হাতে থাকা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে সিপিএম (CPIM)৷
ভোটের আগেই বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডে ভোট বাতিল হয়েছিল৷ উপনির্বাচনের ফলে দেখা গেল, ১৩০ ভোটে জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়৷
এই ওয়ার্ডটি ছিল তৃণমূলের দখলে৷ ফলে শাসক দলের থেকে ওয়ার্ডটি ছিনিয়ে নিয়ে ঊছ্বসিত সিপিএম কর্মী- সমর্থকরা৷ এই জয়ের ফলে চন্দননগর পুরনিগমের ২টি ওয়ার্ড সিপিএমের দখলে এল৷

অশোক গঙ্গোপাধ্যায়

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয় পেল কংগ্রেস৷
গত ১৩ই মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হওয়ায় এই আসনটিতে উপনির্বাচন হয়৷ এ দিন ফল বেরোতে দেখা গেল, ৭৭৮ ভোটে জিতে তপনের জায়গায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু৷

নিহত তপন কান্দু ও ভাইপো মিঠুন কান্দু (ডানদিকে)

জয়ের পর মিঠুন বলেন, “এই জয় আমার কাকুর৷ কাকুর যে যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলিই আমি পূরণ করতে চাই৷ ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে প্রার্থী করেছিলেন৷ ফলে জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না৷”
নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী বলেন, “যারা আমার স্বামীকে খুন করেছিলেন তাঁরা বুঝে গেলন তাঁকে খুন করেও কংগ্রেসকে হারানো যাবে না৷”
প্রসঙ্গত, গতবছর পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২৮ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তপন কান্দু৷ ফলে কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান বেড়েছে৷

অন্যদিকে, গত ১৩ই মার্চ খুন হয়েছিলেন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত৷ ওই আসনে ২২৭৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত৷ ২২৭৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি৷ জেতার পর মীনাক্ষী দত্ত বলেন, “এটা অনুপমের প্রতি মানুষের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ৷”
ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থী কনকলতা দাস৷ দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এ ছাড়াও দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, বাম-কংগ্রেস ১টা করে আসন পেলেও বিজেপির এই হাল কেন হল?
বস্তুত, গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই একে অপরের দিকে আঙুল তুলছেন এই প্রশ্নে।
কারণ, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটেও কার্যত তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত বিজেপি।


এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ২২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৭ টি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বামেদের দখলে থাকা ৩টি পঞ্চায়েত দখল রাজ্যের শাসক দলের। বিজেপির দখলে ৩৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন। বাম জিতেছে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে। কংগ্রেস জিতেছে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে। নির্দলরাও জিতেছে ২টি আসনে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *